ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

এনসিপি

ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপি, সতর্ক করলো এনসিপি

ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপি, সতর্ক করলো এনসিপি Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

বিএনপি এখন ক্ষমতার মোহে এতটাই অন্ধ হয়ে পড়েছে যে, বাস্তবতা বুঝে কাজ করার মতো হুঁশ তাদের নেই—এমন মন্তব্য করে দলটিকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।তিনি বলেন, "ক্ষমতার প্রতি অতিমাত্রায় আসক্তি বিএনপিকে বাস্তবতা বিচ্যুত করেছে। এখনো সময় আছে, হুঁশে ফিরে আসুন, নইলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।"শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির আয়োজিত ‘মৌলিক সংস্কার ও আগামীর রাজনীতি’ বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরো বলেন, "ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই—এই ধরনের অগণতান্ত্রিক ভাষা ব্যবহার একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ধরনের হুমকি, দমন-পীড়ন আর মাস্তানির রাজনীতি দেশের তরুণ প্রজন্ম কোনোভাবেই মেনে নেবে না।"তিনি জোর দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশে সংস্কার হবে, বিচার হবে, তারপরই একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথে এগোনো সম্ভব। জনগণ কী চায়, তা জানতে হলে তাদের মাঝে যেতে হবে, বাহির থেকে চাপ সৃষ্টি করে নয়।"অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি বলেন, "দেশে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।"অর্থনীতিবিদ জিয়া হ

াসান বলেন, "গণ-অভ্যুত্থানের ধারক-বাহক হিসেবে এনসিপির ওপর মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। সেই প্রত্যাশা পূরণে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।"এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, আমরা নির্বাচন চাই না। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অর্থবহ নির্বাচন। আর তার জন্যই মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রয়োজন।"তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচার বিভাগ, সরকারি কর্ম কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দলীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত না হয়, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এইসব প্রতিষ্ঠান সংস্কারের মাধ্যমেই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।"লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মুস্তাইন জহির বলেন, "মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দুরবস্থা ছিল না। আজ আমরা একটি চরম সামাজিক মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।" কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিডিজবসের সিইও ফাহিম মাশরুর, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় (কাতার)-এর সহকারী অধ্যাপক হাসান মাহমুদ এবং ‘ট্রাক লাগবে’-এর প্রতিষ্ঠাতা এনায়েত রশিদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর