আইপিএলের ১৮তম আসরের শেষভাগে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভেড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে ৬ কোটি রুপিতে। খবরটি শুনেই অনেক ভক্ত উচ্ছ্বসিত, তবে প্রশ্ন উঠেছে — তিনি কি পুরো ৬ কোটি রুপি পাবেন? এক কথায় উত্তর: না, মোস্তাফিজ পুরো ৬ কোটি রুপি পাবেন না।এখানে রয়েছে কিছু আইপিএল নীতিমালা এবং গণিতের হিসাব— বদলি খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্তিমোস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের বদলি হিসেবে। তবে ম্যাগার্ক ছিলেন না চোটগ্রস্ত কিংবা অসুস্থ। ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ৯ মে আইপিএল স্থগিত হওয়ার সময় তিনি ভারত ছেড়ে যান।আইপিএলের বিশেষ অনুমতি অনুযায়ী এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো খেলোয়াড় বদলের সুযোগ পেয়েছে। সেই সুযোগে মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় দিল্লি। ‘প্রো-রাটা’ ভিত্তিতে পারিশ্রমিকআইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, মৌসুমের মাঝপথে বদলি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় 'প্রো-রাটা' ভিত্তিতে। মানে পুরো টাকার একটি অংশ, নির্দিষ্ট হিসাব অনুযায়ী:মোস্তাফিজকে দিল্লি নিয়েছে ৬ কোটি রুপিতে।আইপিএলে দিল্লির মোট ম্যাচ ধরা যাক ১৪টি।যদি মোস্তাফিজ যোগদানের সময় দিল্লি ১১টি ম্যাচ খেলে ফেলে, তবে বাকি থাকবে ৩টি ম্যাচ

।সে ক্ষেত্রে মোস্তাফিজ পাবেনঃ(৬ কোটি / ১৪ ম্যাচ) × ৩ ম্যাচ = প্রায় ১.২৮ কোটি রুপি।মাঠে নামা বাধ্যতামূলক নয়। দলের সঙ্গে থাকলেই প্রো-রাটা ফি দেওয়া হয়।যদি মাঠে নামেন, তবে প্রতি ম্যাচে আলাদা ম্যাচ ফিও পাবেন। আইন কী বলছে?আইপিএলের নীতিমালা ৬.৬ ধারা অনুযায়ী:বদলি খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক মূল খেলোয়াড়ের ফি’র বেশি হতে পারবে না।এবং তার যোগদানের আগপর্যন্ত যত ম্যাচ হয়ে গেছে, সেগুলোর অনুপাতে টাকা কেটে রাখা হবে।ফ্রেজার-ম্যাগার্ককে কেনা হয়েছিল ৯ কোটি রুপিতে, আর মোস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে ৬ কোটি রুপির চুক্তিতে। ভবিষ্যতের জন্য কী অর্থ?মোস্তাফিজকে এ চুক্তি অনুযায়ী দিল্লি কেবল এ মৌসুমেই ব্যবহার করতে পারবে।পরের মৌসুমে দিল্লি যদি তাঁকে নিতে চায়, তাহলে আবার নিলামে উঠতে হবে।মোস্তাফিজ ৬ কোটি রুপি পাবেন না।তিনি পাবেন প্রো-রাটা ভিত্তিতে অংশ (মোট ম্যাচের অনুপাতে)।মাঠে নামলে অতিরিক্ত ম্যাচ ফি পাওয়া যাবে।পরের মৌসুমে আবার নিলামে উঠতে হবে। মোস্তাফিজের ৬ কোটি রুপির চুক্তি শুনে চোখ কপালে উঠলেও বাস্তবের হিসাব বলছে — শেষের ২-৩ ম্যাচের জন্য তার আয় হবে আনুমানিক ১.২ থেকে ১.৫ কোটি রুপি। তবুও এই মুহূর্তে এটি বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয় যে আইপিএলের শেষ পর্বে একজন দেশি পেসারকে এত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলে ভেড়ানো হয়েছে।