ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অর্থনীতি

ভারতের আপত্তির মধ্যেও পাকিস্তান পেল আইএমএফের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ

ভারতের আপত্তির মধ্যেও পাকিস্তান পেল আইএমএফের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ Image সংগৃহীত | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

ভারতের কড়া আপত্তির পরও পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই এ সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ জানিয়েছে দিল্লি।আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে এই অর্থ ছাড় করেছে। সংস্থাটির মতে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং তাদের অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের পথে।তবে ভারত সরকারের দাবি, পাকিস্তানের এই আর্থিক সহায়তা ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দিল্লি আরও জানায়, পাকিস্তান অতীতে আইএমএফের সহায়তা পেলেও কাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তান বেরিয়ে আসায় আইএমএফের অর্থ পেতে আর কোনো বড় বাধা নেই, যা ভারতের আপত্তিকে দুর্বল করে দেয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, ভারতের আপত্তির বাস্তবিক প্রভাব সীমিত, কারণ আইএমএফে ভারতের ভোটের হিস্যা মাত্র ২.৬ শতাংশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ১৬.

৪৯ শতাংশ।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এই আপত্তির লক্ষ্য বাস্তব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নয়, বরং কৌশলগত বার্তা দেওয়া। অন্যদিকে, আইএমএফের প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতার কারণে সদস্য দেশগুলো সরাসরি কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে পারে না—শুধু পক্ষে ভোট দেওয়া বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা সম্ভব।আইএমএফের সম্প্রতি যুদ্ধরত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার নীতিগত পরিবর্তনের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। যেমন, ২০২৩ সালে ইউক্রেনকে দেওয়া ১৫.৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যুদ্ধকালীন সময়ে সহায়তার একটি দৃষ্টান্ত।দিল্লিভিত্তিক গবেষক মিহির শর্মার মতে, আইএমএফ যে নিয়ম ইউক্রেনের ক্ষেত্রে শিথিল করেছে, সেই একই যুক্তিতেই পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োগ করা হচ্ছে।সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, "আইএমএফকে রাজনৈতিক চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা সম্ভব নয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অভিযোগের সঠিক মঞ্চ হলো এফএটিএফ, আইএমএফ নয়।"তবে ভারত যে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নীতি সংস্কারের দাবি তুলছে, তা নিয়েও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ধরনের সংস্কার বাস্তবায়িত হলে চীনের মতো দেশের প্রভাব বাড়তে পারে, যা ভারতের কূটনৈতিক ভারসাম্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর