পাকিস্তানের দেওয়া ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ দল এক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। পুরো ইনিংসে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের কারণে ১৬৪ রানেই থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস। হার ৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।ম্যাচের শুরুটা যেন আশা জাগানিয়া। ৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান তুলে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু এরপর ব্যাটে নামেন তিনি ২২ বল খেলে করেন মাত্র ১৭ রান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৭, বাউন্ডারি একটি। বিপরীতে একই সময়ে লিটন দাস করেন ২৮ বলে ৪৬ রান, যা তুলনামূলকভাবে অনেক ইতিবাচক।এই নিষ্প্রভ ইনিংসেই বদলে গেছে ম্যাচের গতি। আর এই ব্যর্থতাকে সামনে এনে সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। তাঁর মতে, “আজ আমরা কৌশলগত জায়গায় কম স্মার্ট ছিলাম।”গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেটে রান করাটা মোটেই অসম্ভব ছিল না। এখানেই সম্প্রতি পিএসএলের ফাইনালে লাহোর কালান্দার্স তাড়া করেছে ২০১ রান। আবার সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলের গড় রান ১৯১ এবং পরে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে চার
বার। এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের করা ২০১ রানও অপ্রতিরোধ্য ছিল না।তবুও বাংলাদেশ ব্যর্থ। পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে উঠে ২ উইকেটে ৪৫ রান। কিন্তু বিপর্যয় ঘটে মাঝের ৭ থেকে ১৬তম ওভার পর্যন্ত, যেখানে ১০ ওভারে এসেছে মাত্র ৮১ রান। এই সময়েই ম্যাচ হাতছাড়া।মুশতাক বলেন, “২০০ রান তাড়ার সময় ইনটেন্ট থাকা লাগে। আপনি যদি রানরেটকে ১৩-১৪ পর্যন্ত নিয়ে যান, তবে নতুন ব্যাটারদের জন্য ম্যাচে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায়।”ব্যাটিং ইনটেন্টের অভাবের দায় গিয়ে পড়ে তাওহিদ হৃদয়ের ঘাড়েই। ২২ বল খেলে মাত্র ১৭ রানে থামা হৃদয় মূলত রানের চাকা আটকে দেন এবং সঙ্গীদের ওপর বাড়িয়ে দেন চাপ। মুশতাক অবশ্য তাঁর ভবিষ্যৎ সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, “সে ভালো খেলোয়াড়। আজ হয়তো মোমেন্টাম পায়নি। তবে সে ম্যাচ ঘোরাতে পারে, এবং এর আগেও তা করেছে।” বাংলাদেশের পরের সুযোগ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল একই মাঠে। এখন দেখার বিষয়, টাইগাররা কি ইনটেন্ট ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, নাকি আবারও হতাশ হতে হবে সমর্থকদের?
মন্তব্য (০)