বিশ্বজুড়ে লিওনেল মেসিকে ঘিরে উৎসাহের শেষ নেই। তার ফুটবল কৌশল, জীবনধারা কিংবা শরীরের ট্যাটু—সবই সমান আগ্রহের বিষয় ভক্তদের কাছে। মেসির শরীরে যতগুলো ট্যাটু রয়েছে, প্রতিটি ট্যাটুই কোনো না কোনো অর্থ বহন করে। তিনি শুধুমাত্র শখের বসে কোনো ট্যাটু করাননি, বরং প্রত্যেকটি তাঁর জীবনের বিশেষ অধ্যায়কে চিহ্নিত করে।পরিবার, ভালোবাসা ও বিশ্বাস—মেসির ট্যাটু যেন জীবনের প্রতিচ্ছবিমেসির শরীরের প্রথম ট্যাটুটি তাঁর মা সেলিয়া কুচিত্তিনির প্রতিকৃতি, যেটি আঁকা রয়েছে বাঁ কাঁধের পেছনে। এই ট্যাটুর মাধ্যমে মেসি তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণাদাত্রী মাকে সম্মান জানিয়েছেন।এরপর আসে তাঁর সন্তানের প্রতি ভালোবাসা। ২০১২ সালে বাবা হওয়ার পর ছেলেকে উৎসর্গ করে বাঁ পায়ের পেছনে করেন থিয়াগোর দুই হাতের ট্যাটু, যার মাঝখানে রয়েছে একটি হৃদয়চিহ্ন এবং থিয়াগোর নাম। পরে আরও দুই ছেলে—মাতেও ও সিরোর নামও যুক্ত করেন শরীরের বিভিন্ন অংশে।স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর জন্য মেসির শরীরে রয়েছে তিনটি ট্যাটু, যার মধ্যে একটি রোকুজ্জোর চোখের ট্যাটু, একটি চুমু খাওয়ার ভঙ্গিতে ঠোঁটের ট্যাটু, এবং একটি রাজার মুকুট—যা রোকুজ্জোর শরীরের রানির মুকুট ট্যাটুর সঙ্গে মিলিয়ে করা।আত্ম-পরিচয় ও অনুপ্রেরণা: মেসির ট্যাটুতে ফুটে ওঠে বিশ্বজয়ের গল্পডান হাতের মাংশপেশিতে রয়েছে পদ্মফুলের ট্যাটু, যা প্রতীক সহনশীলতা, পুনর্জন্ম ও প্রতিকূলতা জয় করার। মেসির শৈশবের সংগ্রাম ও সাদামাটা জীবন থেকে বিশ্বজয়ী হয়ে ওঠার প্রতীক হিসেবেই এই পদ্মের ট্যাটুটি গুরুত্বপূর্ণ।ধর্মীয় বিশ্বাসও মেসির শরীরে ঠাঁই পেয়েছে। ডান হাতে রয়েছে যিশুর প্রতিকৃতি, এবং বার্সেলোনার বিখ্যাত
গির্জা সাগরাদা ফ্যামিলিয়ার অনুপ্রেরণায় আঁকা হয়েছে গোলাপের জানালার (রোজ উইন্ডো) ট্যাটু। এর চারপাশে রয়েছে লাল গোলাপ, গোলাপি পদ্ম ও কমলার ফুল—যা প্রার্থনা, আধ্যাত্মিকতা ও সৌন্দর্যের প্রতীক।ডান কনুইয়ে রয়েছে একটি ঘড়ির ট্যাটু ও পেন্ডুলামের অংশ, যা সময়ের গুরুত্ব এবং প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্য দেওয়ার বার্তা বহন করে।ফুটবল ও ক্যারিয়ার: মেসির ট্যাটু যেন ইতিহাসের রঙিন দলিলমেসির সবচেয়ে জাদুকরী অঙ্গ—বাঁ পা—তাতেও রয়েছে একাধিক ট্যাটু। একসময় সেখানে ছিল তলোয়ার, দেবদূতের ডানা ও লাল গোলাপ, যা পরবর্তীতে ঢেকে দেন গাঢ় কালি দিয়ে। তবে থিয়াগোর হাত ও নামের ট্যাটু এবং ‘১০’ নম্বরটি রেখে দেন, যা তাঁর জার্সি নম্বরের পরিচয় বহন করে।হাঁটুর সামনে রয়েছে বার্সেলোনার লোগো ও তাস খেলার ‘ফাইভ অব কাপস’ ট্যাটু। এই ‘ফাইভ অব কাপস’ ট্যাটুটি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর করান মেসি। এই ট্যাটুর অর্থ বহুমাত্রিক—এটি তাঁর প্রাথমিক স্কোয়াড নম্বর, পরিবারের পাঁচজন ঘনিষ্ঠ সদস্য, এবং ‘সিন ইতার্নোস’ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা সেই ঐতিহাসিক তাস খেলার মুহূর্ত—all-in-one!বিশ্বকাপ জয়ের ট্যাটু: সরাসরি না থাকলেও ইঙ্গিতপূর্ণ উপস্থিতিঅনেকেই প্রশ্ন করেন—মেসির শরীরে কি বিশ্বকাপ জয়ের কোনো চিহ্ন রয়েছে? সরাসরি ফিফা ট্রফির ট্যাটু না থাকলেও ‘ফাইভ অব কাপস’ ট্যাটু আসলে সেটিকেই প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এটি শুধু এক প্রতীক নয়, বরং তাঁর ক্যারিয়ারের পূর্ণতার প্রতিফলন।সারাংশে বলা যায়, মেসির প্রতিটি ট্যাটু একটি করে গল্প—পরিবার, ধর্ম, প্রেম, আত্মত্যাগ এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। তাঁর শরীরের প্রতিটি দাগ যেন জীবনের একেকটি অধ্যায়ের নিঃশব্দ স্বাক্ষর।
* * * Win Free Cash Instantly: https://www.omkarlabour.com/index.php?glzm39 * * * hs=05b78f62b8b0bd665062d3b27af39ddb* ххх*
xn57ha
* * * <a href="https://www.omkarlabour.com/index.php?glzm39">Unlock Free Spins Today</a> * * * hs=05b78f62b8b0bd665062d3b27af39ddb* ххх*
xn57ha