ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

নক্ষত্র

দূরের নক্ষত্রে বরফের রহস্য উন্মোচন: জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের অভিনব আবিষ্কার

দূরের নক্ষত্রে বরফের রহস্য উন্মোচন: জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের অভিনব আবিষ্কার Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

প্রথমবারের মতো এক দূরবর্তী নক্ষত্রে বরফের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের সূর্যের চেয়ে সামান্য বড় ও কিছুটা উষ্ণ একটি নক্ষত্র, যার নাম এইচডি ১৮১৩২৭, তার চারপাশের ধুলোময় ধ্বংসাবশেষ বা ডিস্কে বরফের স্ফটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই বরফগুলো প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান ডিস্কটি একধরনের মহাজাগতিক বরফের গোপন অঙ্গন।বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচার-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এই বিরল আবিষ্কারের পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই নক্ষত্র ও তার ডিস্কের মধ্যে দূরত্বটি এতটাই বেশি যে, এটি আমাদের সৌরজগতের কুইপার বেল্টের মতো একটি অঞ্চল। বিজ্ঞানী চেন শি এর ভাষ্য অনুযায়ী, এই টেলিস্কোপ শুধুমাত্র বরফ নয়, বরফের স্ফটিকের মতো গঠনও আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের নিজের সৌরজগতের কুইপার বেল্টেও বরফ ও বরফযুক্ত বস্তু বহু স্থানে পাওয়া যায়, যেমন শনির চারপাশের বলয়।এইচডি ১৮১৩২৭ একটি অত্যন্ত সক

্রিয় নক্ষত্র। এর চারপাশের ধ্বংসাবশেষ ডিস্কে এখনো বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ চলছে। বরফময় বস্তুগুলোর সংঘর্ষের ফলে ক্ষুদ্র ধূলিকণা সহ বরফের ছোট ছোট স্ফটিক নির্গত হয়, যা জেমস ওয়েব অত্যন্ত সংবেদনশীল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।এই নক্ষত্রের বরফ আবিষ্কার মহাবিশ্বজুড়ে গ্রহ গঠনের প্রক্রিয়া বুঝতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। গবেষকরা বলছেন, অধিকাংশ বরফই নক্ষত্র থেকে সবচেয়ে দূরের অংশে উপস্থিত, যা গ্রহ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে।বিজ্ঞানী চেন শি আরও বলেন, ধ্বংসাবশেষ ডিস্কের মাঝখানে জেমস ওয়েব প্রায় ৮ শতাংশ বরফের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বরফগুলো সেখানে দ্রুততর হারে উৎপন্ন হয়, যদিও ধ্বংসপ্রক্রিয়াও একইসঙ্গে চলছে।দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে, এই ধরনের ধ্বংসাবশেষ ডিস্কে বরফ থাকতে পারে। কিন্তু আগের যন্ত্রপাতি যথেষ্ট সংবেদনশীল না হওয়ার কারণে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এখন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে এই বরফের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ায়, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অন্যান্য সক্রিয় গ্রহ গঠনের ক্ষেত্রেও গবেষণা আরো জোরদার করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর