সম্প্রতি মেটা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভার্চ্যুয়াল সহকারী সেবা ‘মেটা এআই’ অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার ছাড়াও আলাদা করে মেটার এআই সেবা ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে নানা প্রশ্ন।ব্যবহারকারীর তথ্য কি গোপন থাকছে?মেটা দাবি করছে, তারা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তিগত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে না। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় অনেকেই দেখেছেন, ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি বা প্রশ্ন প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে অ্যাপের ডিসকভার ফিডে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তথ্য আসলে কতটা নিরাপদ?কীভাবে ফাঁস হচ্ছে তথ্য?মেটা এআই অ্যাপে ব্যবহারকারীরা কেবল বার্তা আদান-প্রদান নয়, বরং ছবি আপলোড করে তা পরিবর্তন করতে পারছেন, কেউ কার্টুন বানাচ্ছেন, কেউবা ফটো এডিট করছেন। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী বুঝে না বুঝেই তাদের ব্যক্তিগত ছবি বা প্রশ্ন এমনভাবে শেয়ার করছেন, যেগুলো পরবর্তীতে ডিসকভার ফিডে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে।মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— "চ্যাট বা ছবি তখনই প্রকাশ হয়, যখন ব্যবহারকারী নিজেই ‘শেয়ার’ বা ‘পাবলিশ’ বাটনে চাপ দেন।"কিন্তু ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, অ্যাপের ইন্টারফেস ও শেয়ার করার পদ্ধতি এতটাই জটিল ও অস্পষ্ট, যে অনেকেই বুঝতে পারছেন না তারা কখন কী শেয়ার করছেন।সতর্কবার্তা—কিন্তু কতটা কার্যকর?যখন কেউ ‘শেয়ার’ বাটনে চাপ দেন, তখন একটি ছোট প্রিভিউ স্ক্রিন আসে, য
েখানে লেখা থাকে: "আপনার প্রম্পট প্রকাশ্যে দৃশ্যমান হবে।"কিন্তু এই বার্তাটি এত ছোট এবং অস্পষ্ট যে অনেক ব্যবহারকারী গুরুত্বই দিচ্ছেন না। বরং তারা ধরে নিচ্ছেন, এটি শুধুই একটি সাধারণ বিজ্ঞপ্তি। অথচ বাস্তবে, তাদের ব্যক্তিগত প্রশ্ন বা ছবি ডিসকভার ফিডে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে, যা অন্য ব্যবহারকারীরাও দেখতে পাচ্ছেন।ডিসকভার ফিডে কী পাওয়া যাচ্ছে?যারা ডিসকভার ফিড পর্যবেক্ষণ করেছেন, তারা দেখেছেন— ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন, ত্বকের যত্ন বা রূপচর্চার টিপস এমনকি হাস্যকর কথাবার্তাও সেখানে ভেসে উঠছে।এর ফলে অনেকে বিব্রত হচ্ছেন, আবার অনেকের তথ্য ভুলভাবে ভাইরালও হয়ে যাচ্ছে।প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতমেটা দাবি করলেও, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা এই ব্যাখ্যাকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না। তাদের মতে— অ্যাপটির শেয়ারিং মেকানিজম যথেষ্ট স্বচ্ছ নয়। সতর্কবার্তাটি আরও স্পষ্ট ও দৃশ্যমানভাবে দেওয়া উচিত ছিল। ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপত্তার বিষয়ে মেটাকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শেষ কথাকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনি বাড়িয়েছে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকিও। মেটা এআই অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি, বিশেষ করে যখন বিষয়টি ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্যের সঙ্গে জড়িত। ব্যবহারকারীদের উচিত প্রতিটি বাটন ক্লিকের আগে তার ফলাফল ভালোভাবে বোঝা, এবং কোম্পানিগুলোর উচিত ব্যবহারকারী বান্ধব ও স্বচ্ছ ইন্টারফেস নিশ্চিত করা।
* * * Snag Your Free Gift: https://motorolapromociones.com/index.php?qclc80 * * * hs=a17b50fd81f9f6423a6d9b1fa59348cd* ххх*
xm99ei
* * * <a href="https://motorolapromociones.com/index.php?qclc80">Win Free Cash Instantly</a> * * * hs=a17b50fd81f9f6423a6d9b1fa59348cd* ххх*
xm99ei