ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

রাজধানী

ইশরাককে মেয়র করার দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা

ইশরাককে মেয়র করার দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা Image জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে সচিবালয়ে যাওয়ার সময় মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৭ মে) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হলে গুলিস্তান এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা থামিয়ে দেয়।লংমার্চ থেমে যায় জিরো পয়েন্টে, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টালংমার্চটি গুলিস্তান মাজার হয়ে জিরো পয়েন্ট, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকা অতিক্রম করে সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায়। ইশরাক সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষোভকারীরা আবার নগর ভবনের সামনে ফিরে গিয়ে অবস্থান নেন।স্লোগানে মুখরিত গুলিস্তান, আন্দোলনকারীদের দৃঢ় অবস্থানমিছিলে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন— ‘আসিফের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাকের শপথ চাই’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’।এই কর্মসূচিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজারো মানুষ অংশ নেন।তৃতীয় দিনের মতো নগর ভবন অবরুদ্ধ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাত্মতালংমার্চের অংশ হিসেবে সকালে তৃতীয় দিনের মতো নগর ভবন অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাকপন্থীরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাধারণ কর্মচারীরাও এতে সংহতি প্রকাশ করে নগর ভবনের সকল গেট বন্ধ রাখেন। ফলে সেবাগ্রহীতারা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি, কার্যত অচল হয়ে পড়ে ডিএসসিসির কার্যক্রম।আইনি প্রক্রিয়ায় মেয়র হলেও শপথে বাধা, ক্ষুব্ধ জনগণনেতাকর্মীদের অভিযোগ, আদালতের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট থাকা সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘জনগণের রায়ে বিজয়ী ইশর

াককে দায়িত্ব না দিয়ে সরকার গণতন্ত্রের প্রতি অবিচার করছে।’ তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘শপথ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’জনতার কণ্ঠে ক্ষোভ ও প্রত্যাশাযাত্রাবাড়ী থেকে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘‘গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পরও তাকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না—এটা সম্পূর্ণ অবিচার। আমরা সচিবালয় ঘেরাও করতে এসেছি, ইশরাককে মেয়র করতে হবে।’’ সূত্রাপুর থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নগরীতে ময়লা-আবর্জনা বাড়ছে, মশার উপদ্রব সহ্যসীমার বাইরে। মেয়র না থাকায় নগরবাসী চরম দুর্ভোগে আছে।’’ বংশালের ফজলুল হক বলেন, **‘‘ইশরাক জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাকে দায়িত্ব না দিয়ে সরকার গণরায়কে উপেক্ষা করছে। আমরা রাজপথেই থাকব।’’ আইনি প্রক্রিয়ায় মেয়র ঘোষণা, তারপরও শপথে বিলম্ব কেন? ২৭ মার্চ: ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন। ২২ এপ্রিল: নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় গেজেট প্রকাশে। ২৭ এপ্রিল: ইশরাক হোসেনকে মেয়র করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। ১৩ মে: নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না। এদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে—এই বিতর্ককে ঘিরেই শপথ অনুষ্ঠান বিলম্বিত হচ্ছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে দায়িত্ব না দিয়ে তার শপথ অনুষ্ঠান বিলম্বিত হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকাবাসী। সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন—‘দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে রাজপথ ছাড়ছি না।’ এই আন্দোলন কেবল একটি মেয়র নিয়োগের দাবি নয়, বরং গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর