ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

ধর্ষণের শিকার হয়েও গণপিটুনির শিকার নারী, গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্তসহ ৫ জন

ধর্ষণের শিকার হয়েও গণপিটুনির শিকার নারী, গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্তসহ ৫ জন Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
১৩

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীর ঘরে জোরপূর্বক ঢুকে ধর্ষণের পর স্থানীয়দের হাতে উল্টো সেই নারীই গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় চাঞ্চল্য। পুলিশের হস্তক্ষেপে মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে। ভুক্তভোগী নারী কিছুদিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতের নির্জনে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফজর আলী (৩৮) জোর করে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করে সাহায্য চাইলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। কিন্তু বাস্তবতা না জেনে তারা নারীটিকেই দোষারোপ করে বেধড়ক মারধর করেন এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।পুলিশ জানায়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় এবং তদন্ত শুরু করে। অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো.

অনিক—কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, ফজর আলী দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ডাক দেন। দরজা না খোলায় সে জোর করে ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা পরিস্থিতি না বুঝে উল্টো মারধর শুরু করে। পরে তারা বুঝতে পারেন যে নারীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তখন তারা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখান থেকে ফজর আলী কৌশলে পালিয়ে যায়।পরদিন শুক্রবার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর পুলিশের সহায়তায় নারীটি শনিবার রাতে মুরাদনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, “প্রথমে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেননি। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা নিজ উদ্যোগে তদন্ত শুরু করি এবং তাকে আইনি সহায়তা প্রদান করি।” নারীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশ আরও জানায়, ভিডিও ধারণ ও প্রচারে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রাও নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেছেন, “প্রথমে বিষয়টি না বুঝে আমরা যা করেছি, তা অনিচ্ছাকৃত ভুল। এখন আমরা চাই, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হোক।”

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর