‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর তারা রবিবার ও সোমবারের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম জানিয়েছিল, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মীরা। সে অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কাজকর্ম প্রায় বন্ধ ছিল।স্মারকলিপি পেশই আগামী কর্মসূচির মূল প্রতিপাদ্যআজকের কর্মবিরতি শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সাংবাদিকদের সামনে নতুন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর, মুহা.
নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।তাঁরা জানান: রোববার (আগামী ২ জুন) তিন উপদেষ্টা — আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। সোমবার (৩ জুন) স্মারকলিপি দেওয়া হবে আরও দুই উপদেষ্টা — আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কাছে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও একই দাবির স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরা নিয়ে আশাবাদী নেতারাঐক্য ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে জাপানে সফরে রয়েছেন। তাঁর দেশে ফেরার পর তাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে 'ভালো সংবাদ' পাওয়ার আশা করছেন।তাঁদের প্রত্যাশা— ঈদের আগেই দাবি পূরণের সুখবর পাবেন, আর সেই আনন্দ নিয়েই উদযাপন করবেন ঈদুল আজহা।কোন প্রেক্ষাপটে শুরু হলো আন্দোলন?গত ২৩ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, যার ভিত্তিতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া পাস হয়।এরপর থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। ২৭ মে (রোববার) সন্ধ্যায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশটি জারি করলে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। ২৮ মে থেকে টানা আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা, যেটি এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সারসংক্ষেপে: সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্মারকলিপির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের কৌশলে এগোচ্ছে আন্দোলনকারীরা। সরকার কীভাবে সাড়া দেয়, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য (০)