নতুন বিধিমালার মূল বিষয়বস্তু:দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা ৮০ থেকে ৪৬-এ নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১২ জন মনোনীত, আর ৩৪ জন নির্বাচিত হবেন। সহসভাপতির সংখ্যাও ৬ থেকে কমিয়ে ৩ জনে নামানো হচ্ছে। পরিবর্তনের প্রভাব:নতুন বিধিমালায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো—টানা দুইবার পর্ষদে থাকা ব্যক্তিরা পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না একবার বিরতি দেন।এ বিধান পূর্ববর্তী পর্ষদের সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য হবে, ফলে অনেক অভিজ্ঞ সাবেক পরিচালক এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ক্ষোভ ও বিতর্ক:এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে পরিকল্পিতভাবে অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।তাঁদের মতে, আইন সাধারণত ভবিষ্যতের জন্য প্রযোজ্য হয়, অতীতের সদস্যদের বাদ দেওয়া অবিচার। আইনগত অগ্রগতি:বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এখন প্রজ্ঞাপন জারির পর্যায়ে আছে। বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন, শিগগিরই এটি কার্যকর হবে। মনোনীত পরিচালক সংখ্যা কমানো:বর্তমানে ৩৪ জন মনোনী
ত পরিচালকের জায়গায় থাকবে মাত্র ১২ জন।চেম্বার গ্রুপ থেকে: ৫ জনঅ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে: ৫ জননারী প্রতিনিধিত্ব: ২ জন (একজন করে দুই গ্রুপ থেকে) নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন:আগামী নির্বাচন থেকে:সভাপতি: অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকেজ্যেষ্ঠ সহসভাপতি: চেম্বার গ্রুপ থেকেএই দুই পদে সরাসরি সদস্যদের ভোটে নির্বাচন হবে। মতবিনিময় ও সুপারিশ:গত সেপ্টেম্বরে সদস্যদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গঠিত সংস্কার পরিষদ ১২ দফা সুপারিশ করে, যার মধ্যে এই বিরতির বিধানও ছিল। অভিযোগ ও অনিয়ম:কিছু সহায়ক কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—তাঁরা নির্দিষ্ট সদস্যদের নিজেদের পছন্দের ব্যবসায়ীদের সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে চাপ প্রয়োগ করে বসাতে চাইছেন। নির্বাচনের সময়সূচি:এফবিসিসিআই প্রশাসক জানিয়েছেন, সংস্কার চূড়ান্ত হলেই দ্রুত নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হবে।নতুন নিয়মে অনেক অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী নির্বাচনের বাইরে চলে যাচ্ছেন, যদিও এটি দীর্ঘদিনের সংস্কার দাবির অংশ। তবে অতীতেও এ নিয়ম প্রয়োগ করায় বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তন কত দ্রুত কার্যকর করে এবং ব্যবসায়ী সমাজে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
মন্তব্য (০)