অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা ঘিরে রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা চাইছেন, তিনি দায়িত্বে থাকুন, তবে দ্রুত নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ইউনূস তাঁর পদত্যাগের ইচ্ছার ইঙ্গিত দেন, যা প্রকাশ্যে আসার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় ওঠে। তিনি রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা, দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব এবং নানা অসহযোগিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও অন্যান্য ইসলামপন্থী দলের নেতারা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান এবং তাঁকে দায়িত্বে থাকতে অনুরোধ জানাবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি নেতারা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তারা ইউনূসের পদত্যাগ চান না, বরং একটি বিশ্বস্ত নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ আশা করেন।এদিকে সেনাপ্রধানের নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য ও এনবিআর বিলুপ্তির পরিপ্রেক্ষ

িতে ইউনূস বিরক্ত, এমনটাও জানাচ্ছেন ঘনিষ্ঠরা। সেইসঙ্গে ইসির আগ বাড়িয়ে মন্তব্য ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যও তাঁর হতাশার কারণ।জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি সহ ইসলামি দলগুলো মনে করে, ইউনূস পদত্যাগ করলে দেশ বড় সংকটে পড়বে। তারা মনে করে, সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচন ইউনূসের নেতৃত্বেই হওয়া উচিত।আজকের একনেক বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস রাজনীতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলেন কি না, সেটির দিকে সবার দৃষ্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ছাড়া বিকল্প নেই।মূল দাবি এখন একটাই—দ্রুত নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ও রোডম্যাপ ঘোষণা করুক সরকার।ইউনূস যেন পদত্যাগ না করেন—এ নিয়ে প্রায় সব দলের নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ব্যক্তিগত অভিমান নয়—এই মুহূর্তে প্রয়োজন জাতীয় স্বার্থে সংহতি ও স্থির নেতৃত্ব। এখন দেখার বিষয়—অধ্যাপক ইউনূস কী সিদ্ধান্ত নেন, আর রাজনৈতিক দলগুলো কতটা ঐক্য দেখাতে পারে।