আন্তর্জাতিক ডেস্ক:গাজা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বেছে নিচ্ছেন।সম্প্রতি ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েল উপেক্ষিত থাকলেও সৌদি যুবরাজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। সফরে যুবরাজকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, “আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।” অথচ কয়েক বছর আগেই এই যুবরাজের তীব্র সমালোচক ছিলেন তিনিই। ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তিট্রাম্প ও সালমানের মধ্যে একটি বিপুল পরিমাণ ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। এত দিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান সামরিক মিত্র হিসেবে দেখলেও এবার সৌদি আরবকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছ
েন ট্রাম্প। ইসরায়েলের অবস্থান দুর্বল হচ্ছেট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তি অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে। সৌদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির প্রচেষ্টা, হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা—সবই ইসরায়েলের নিরাপত্তা ইস্যুকে উপেক্ষা করে এগোচ্ছে। শারার প্রশংসা ও সিরিয়া নীতি পরিবর্তনট্রাম্প সিরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আহমেদ আল-শারাকে ‘আকর্ষণীয়’ নেতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন, যিনি আগে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন। এ সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। ট্রাম্পের নিজের স্বার্থই প্রধানবিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প এখন এমন চুক্তি করতে চান, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে উপকারী। ইসরায়েলকে তার এক নম্বর পছন্দের দেশ হিসেবে না রেখে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কৌশল নিচ্ছেন তিনি।
মন্তব্য (০)