ভারতের যুদ্ধবিমান হামলার পাল্টা জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বলেন,“এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।”ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।গোলাবর্ষণে নিহত হলেন গৃহবধূ, আহত কন্যা – কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারভারতীয় হামলার পর পাকিস্তানের পাল্টা গোলাবর্ষণে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।পুঞ্চ জেলার বাসিন্দা বুয়া সিং জানান,“রাতের দিকে একটি মর্টার শেল আমার ভাতিজি রুবি কৌরের ঘরের উপর আঘাত হানে। সে তখন তার অসুস্থ স্বামীর জন্য চা তৈরি করতে উঠেছিল। শেলের স্প্লিন্টার তার মাথায় আঘাত করলে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়।”“আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু চিকিৎসকরা জানান সে আর বেঁচে নেই।”রুবি কৌরের কন্যাও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।বুয়া সিং আরও বলেন,“এই এলাকায় কোনো কমিউনিটি বাঙ্কার নেই, সবাইকে ঘরের ভেতরেই আশ্রয় নিতে হয়। আমরা কখনো এমন তীব্র গোল

াগুলির মুখে পড়িনি।”ভারতের অভিযানকে ‘দুঃখজনক’ বলছে চীন, শান্ত থাকার আহ্বানচীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সামরিক অভিযানকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।প্রবক্তা বলেন,“দক্ষিণ এশিয়ার এই পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা উভয় দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা সংযম প্রদর্শন করে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।”পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আতঙ্ক, শিক্ষা কমপ্লেক্স আংশিক ধ্বংসপাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে শহরের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউনুস শাহ জানান,“ভারতের দিক থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে একটি শিক্ষা কমপ্লেক্সে। প্রথম তিনটি একসাথে পড়ে, এবং চতুর্থটি পরে আসে।”শিক্ষা কমপ্লেক্সটিতে একটি স্কুল, কলেজ, হোস্টেল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং একটি মসজিদ ছিল।“আঘাতে ভবনগুলোর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আশপাশের আবাসিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”“সবাই নিরাপদ জায়গায় চলে গেছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং উদ্ধারকর্মীরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছে।” – জানান শাহ।পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়ায়। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এখন সবচেয়ে প্রয়োজন দুই দেশের শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ।