ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

যুক্তরাষ্ট্র

ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রমাণ

ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রমাণ Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৩৭

ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কোথাও সরিয়ে নিয়েছে—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি যে ইরান তাদের পারমাণবিক উপাদান গোপনে অন্যত্র স্থানান্তর করেছে।এই বক্তব্যের মাধ্যমে হেগসেথ কার্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের দাবিকে সমর্থন করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, "ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে"।‘বাংকার-বাস্টার’ দিয়ে আঘাতগত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান থেকে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজনের বেশি ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলার পরই শুরু হয় জল্পনা—ইরান তার উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলেছে কিনা।হেগসেথ বলেন, "আমি এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য পাইনি বা জানি না, যা বলছে সেগুলো অন্য কোথাও সরানো হয়েছে।"ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ামার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরো প্রেস ব্রিফিং পর্যবেক্ষণ করেন এবং নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সময় বাইরে থাকা গাড়িগুলো আসলে নির্মাণ শ্রমিকদের ছিল, যারা টানেল ঢাকার কাজ করছিলেন। কোনো কিছুকেই সরানো হয়নি।” তবে তিনি এই বক্তব্যের পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।বিশেষজ্ঞদের ভিন্নমতকিছু পরমাণু বিশেষজ্ঞের মতে, ইরান হয়তো আগেভাগেই ফোর্দোর ভূগর্ভস্থ গোপন ঘাঁটি থেকে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলেছে। তাদের দাবি, ইরান

এসব উপাদান এমন জায়গায় লুকিয়ে রাখতে পারে, যেগুলোর অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল বা জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকেরা কিছুই জানে না।এছাড়াও, ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট চিত্রে ফোর্দোর বাইরে অস্বাভাবিক যান চলাচল এবং ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, যা এ সন্দেহকে আরও জোরদার করেছে।ইরানি সূত্রের দাবিরয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, হামলার আগেই ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বড় অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ইউরোপীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে—ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের বড় অংশ এখনও অক্ষত, কারণ এই উপাদানগুলো শুধু ফোর্দোতেই সংরক্ষিত ছিল না।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরক্ষাএসব সন্দেহ ও প্রতিবেদনকে নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "এই অভিযানের সফলতা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে কিছু গণমাধ্যম।" তিনি আরও জানান, র‍্যাটক্লিফ, মার্কো রুবিও, জেনারেল ড্যান কেইনসহ প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যদের সঙ্গে একটি গোপন ব্রিফিংয়ে হামলার বিস্তারিত তথ্য ভাগাভাগি করেছেন।পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হেগসেথ এই হামলাকে ‘ঐতিহাসিকভাবে সফল’ অভিযানের স্বীকৃতি দেন।ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারি অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা চালালে, ইরানের পাল্টা আঘাতে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর