ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধ

ইসরায়েল ইয়েমেনের দুই বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে

ইসরায়েল ইয়েমেনের দুই বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, ইয়েমেনের হুদাইদাহ ও আস-সালিফ বন্দরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা এসেছে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায়, যদিও কয়েকদিন আগেই এই ইয়েমেনি বিদ্রোহী দলটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্নি নির্বারণ চুক্তি করেছিল।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শুক্রবার বলেছে, তারা ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) জানিয়েছে, উক্ত দুটি বন্দর হুথি বিদ্রোহীরা অস্ত্র স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করছিল।হুথি-সমর্থিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনও একই রিপোর্ট দিয়েছে, কিন্তু হামলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।হুথি ও ইসরায়েলের সংঘাতহুথি বিদ্রোহীরা গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে, নিজেদেরকে ফিলিস্তিনের পক্ষে ঘোষণা করে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।এদিকে, ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৬ মে ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেখানে কয়েকজন নিহত হন।সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাএবারের হামলা হলো সেই মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে অগ্নি নির্বারণ চুক্তির পর প্রথম হামলা। ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ স্থগিত করেছিল এবং হুথিরাও রেড সাগরে শিপিং ল

েনগুলোতে হামলা বন্ধ করার জন্য সম্মত হয়েছিল।তবে, ইসরায়েল এই চুক্তির অংশ নয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এই সপ্তাহে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি আকাশসীমায় ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।নেতাদের বক্তব্যইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেন,“এই হামলা কেবল শুরু মাত্র। হুথিরা কেবল একটি হাতিয়ার, এর পেছনে ইরানের হাত আছে।”তিনি আরও বলেন,“আমরা নীরব বসে থাকব না। যারা আমাদের ক্ষতি করবে, আমরা তাদের নেতৃত্বসহ পুরো অবকাঠামোতে প্রবল জোরে আঘাত করব।”প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,“যদি হুথিরা ইসরায়েলির বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো চালিয়ে যায়, তবে আমি হুথি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথিকে শিকার করে নির্মূল করব।”ক্যাটজ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আল-হুথিরও একই অবস্থা হবে যেভাবে গাজার হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ ও ইয়াহিয়া সিন্নওয়ার, হামাস রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহ এবং লেবাননের হেজবোল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে ইসরায়েল ধ্বংস করেছে।অ্যাল জাজিরার রিপোর্টজর্ডানের আম্মান থেকে অ্যাল জাজিরার প্রতিবেদক হামদা সালহুত জানান,“মার্চ থেকে, যখন ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে আগ্নি নির্বারণ ভঙ্গ করে প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে, তখন থেকে হুথিরা কমপক্ষে ৩৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়েছে।”তিনি বলেন,“ইসরায়েলের নীতি হবে প্রতিরোধমূলক ও পাল্টা হামলা চালানো। প্রতি ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে এ ধরনের বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে।”

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর