মহাকাশে যুক্ত হলো অ্যামাজনের নতুন ২৭টি স্যাটেলাইট, যা ইন্টারনেট সেবায় স্পেস এক্সের স্টারলিংকের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামলো। সোমবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার পর), ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ‘আটলাস ভি’ রকেটের মাধ্যমে এই স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রজেক্ট কুইপার নামের এই বিশাল প্রকল্পের লক্ষ্য, পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া — যেখানে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড পৌঁছানো কঠিন। স্পেস এক্স বনাম অ্যামাজন: নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতাইতোমধ্যেই এলন মাস্কের স্টারলিংক প্রায় ৪৬ লাখ গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। সেখানে অ্যামাজনের এই দেরিতে শুরু হওয়া যাত্রা অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাজারে অ্যামাজনের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান অর্জন করা কঠিন হতে পারে।অ্যামাজনের জন্য এটি অনেক দেরিতে শুরু করা একটি উদ্যোগ,” মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মোফেটনাথানসনের পরিচালক ক্রেইগ মোফেট। “বিনিয়োগের দিক থেকে এটি লাভজনক নাও হতে পারে।” কতদূরে যাবে কুইপার?প্রথম ধাপে, প্রজেক্ট কুইপার প্রা

য় ৩,২০০টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠাবে, যেগুলো পৃথিবী থেকে মাত্র ২৮০ মাইল (৪৫০ কিমি) দূরে ঘুরবে। এটি স্টারলিংকের চেয়ে কিছুটা নিচু কক্ষপথে, ফলে ইন্টারনেট স্পিডেও প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে।ব্যয়, সময় ও রাজনৈতিক প্রভাবপ্রজেক্ট কুইপারের প্রথম প্রজন্মের খরচ হতে পারে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার, এবং এরপর প্রতি বছর অপারেশনে খরচ হতে পারে ১ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। এছাড়া, স্টারলিংকের মতো কুইপারকেও ভূরাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে, যেমন ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এলন মাস্ককে যেতে হয়েছিল।“এলন মাস্কের পরিবর্তে জেফ বেজোস যদি ইন্টারনেট সেবা দেন, তা হলে হয়তো অনেক দেশের পক্ষেই তা হবে স্বস্তির,” মতামত দেন মোফেট।সম্ভাবনার নতুন দিগন্তএতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও অ্যামাজন আশা করছে যে, প্রজেক্ট কুইপার অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS), ডেলিভারি সিস্টেম ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত পরিসরে বড় ভূমিকা রাখবে।এ বিষয়ে অ্যামাজনের কুইপার বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব বাডিয়াল বলেন,“এই উৎক্ষেপণ আমাদের চূড়ান্ত ডিজাইনের প্রথম পরীক্ষা। ভবিষ্যতে আরও অনেকবার উৎক্ষেপণ করব। এটা আমাদের জন্য একটি নতুন যাত্রার সূচনা মাত্র।”