ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে মরুপ্রাণী উট, দাম ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা!

চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে মরুপ্রাণী উট, দাম ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা! Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৫৩

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক কোরবানির পশুর হাটে এবারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মরুভূমির উট। এটাই প্রথম নয়—২০২২ সালে এই হাটে গোলাপি মহিষ এনে সাড়া ফেলেছিলেন এক খামারি। এবার সেই চমককে ছাড়িয়ে গেছে উটের উপস্থিতি।উটগুলো আনা হয়েছে যশোরের বেনাপোলের ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্ম থেকে। হাটে পৌঁছানোর পর থেকেই উট দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় দর্শনার্থী, পশুপ্রেমী ও ইউটিউবাররা।ফার্মের প্রতিনিধি গাজী সিরাজুল ইসলাম জানান, “ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিশেষ কিছু উপস্থাপনের ইচ্ছা থেকেই তিনটি উট আনা হয়েছে। প্রতিটি উটের ওজন প্রায় ১২ থেকে ১৫ মণ। এ ছাড়া বড় আকারের প্রায় ৫০টি গরুও হাটে এনেছি।”তিনি আরও জানান, এই উটগুলো দুই বছর আগে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে খামারে আনা হয় এবং নিয়মিত ভুট্টা, ছোলা, গম, বুটের খোসা ও ঘাস খাওয়ানো হয়। ভালোভাবে পালনের মাধ্যমে উটগুলোকে কোরবানির উপযোগী করে তোলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে উটগুলো ট্রাকে করে এনে তোলা হয় হাটে। প্রতিটি উটের দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য দরদাম হয়নি।হাট পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, মুল ফটকের পাশে ত্রিপলের নিচে রাখা হয়েছে তিনটি উট। এসব উটকে ঘিরে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করেছেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন

, ভিডিও করছেন, কেউ কেউ আবার ইউটিউব কনটেন্ট তৈরিতে ব্যস্ত।হাটে মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে জানানো হচ্ছে, এখানে গরু, ছাগল, ভেড়ার পাশাপাশি উটও রয়েছে, যা কোরবানির পশুর তালিকায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।ডেইরি ফার্মের আরেক প্রতিনিধি মন্টু মিয়া বলেন, “মইজ্জারটেক হাটে পশুর চাহিদা বেশি, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই এই প্রথমবার উট এনেছি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি হবে।”হাট ইজারাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল বলেন, “নগরের কাছাকাছি হওয়ায় হাট জমে উঠেছে। উট আসায় এবার মানুষের আগ্রহ আরও বেড়েছে। ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে দরদাম করে পশু কিনতে পারছেন।”ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, ঈদের সময় সাধারণত ভারতের রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানার মরু এলাকা থেকে উট ও দুম্বা আমদানি হয়। কোনো কোনো সময় পাকিস্তান থেকেও উট আনা হয়। এসব উট সীমান্তবর্তী জেলা যেমন যশোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।ঢাকার বাজারে উটের দেখা বেশি মিললেও চট্টগ্রামে এ ধরনের পশু কমই আসে। তাই এবারের এই আয়োজন স্থানীয়দের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, উটের মাংস স্বাদে ভিন্ন, হালকা মিষ্টি ও তুলনামূলক নরম। বিশেষ করে কম বয়সী উটের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং এতে চর্বির পরিমাণও কম থাকে, যা স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে বাড়তি পছন্দের কারণ হতে পারে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর