ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

বাজেট

দ্বিগুণ হচ্ছে ভ্যাট, বাড়ছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের দাম

দ্বিগুণ হচ্ছে ভ্যাট, বাড়ছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের দাম Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৫৪

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যের ওপর ভ্যাট দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে, যা ভোক্তাদের দৈনন্দিন ব্যয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন ভ্যাট হার কার্যকর হলে প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট, বাটি, ঠোঙা ও অন্যান্য সামগ্রীর ওপর ভ্যাট বেড়ে ১৫ শতাংশে পৌঁছাবে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্যের ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে, যেসব পণ্য কাগজ, পোড়ামাটি, গাছের উপাদান বা পচনশীল প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি, সেগুলোর ওপর কোনো ভ্যাট আরোপ করা হবে না।একজন এনবিআর কর্মকর্তা জানান, এই উদ্যোগ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নয়, বরং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্যও নেওয়া হয়েছে। কারণ, এই খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।বর্তমানে দেশজুড়ে চা, কফির দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাথের খাবারের দোকানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সামগ্রী। চা-কফি, ঝালমুড়ি, ফুচকা এমনকি খাবার পরিবেশনায়ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ও কাগজের কাপের দামের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়। যেমন, ১০০টি প্লাস্টিক কাপ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, আর একই পরিমাণ কাগজ কাপ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। তবে প্লাস্টিকের প্লেট এখনো কাগজের তুলনায় অনেক সস্তা, যেমন ১০০টি কাগজের প্লেট ৬০০ টা

কা হলেও প্লাস্টিকের দাম ২৫০–৫০০ টাকার মধ্যে থাকে।কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী শামীম জানান, “কাগজের কাপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে প্লাস্টিক কাপের ওপর ভ্যাট বাড়লে তেমন প্রভাব পড়বে না।” অন্যদিকে, রিপন নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, “কাপের চেয়ে প্লেটের ক্ষেত্রে কাগজের দাম অনেক বেশি। প্লাস্টিকের প্লেট আড়াই–তিন টাকায় পাওয়া গেলেও কাগজের প্লেটে পড়ে প্রায় ছয় টাকা। তাই কাগজের ওপর ভ্যাট কমলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও এই সব প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যদিও সেখানে অতিরিক্ত ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ডেলিভারি চার্জ যোগ হয়।এদিকে, শুধু ওয়ান টাইম নয়, অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের ওপরও ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা প্লাস্টিক শিল্পে বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, “এই খাতের বেশিরভাগ পণ্য বিক্রি হয় ছোট দোকান ও ফেরিওয়ালাদের মাধ্যমে। এসব অনানুষ্ঠানিক খাত থেকে ভ্যাট আদায় বাড়ানো কঠিন হবে। বরং এতে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।” বর্তমানে বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্পে প্রায় ৬ হাজার উদ্যোক্তা সক্রিয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ও মাঝারি পরিসরে কাজ করেন। এই শিল্পে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য বাজারে বিক্রি হয়, যা জাতীয় অর্থনীতির একটি বড় অংশ।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর