এই ঘোষণা দিয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চাইলে আলোচনা করা সম্ভব, তবে তার আগে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই শাটডাউন কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে, তবে এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।আজ সকাল থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থান বন্ধ রয়েছে। চলমান শাটডাউনের কারণে অফিসের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না। এর ফলে এনবিআরের যাবতীয় সেবা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনেও কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানিভিত্তিক শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেছে।সংস্কার পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ অভিযোগ করেন, এনবিআর চেয়ারম্যান একজন ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “বর্তমান চেয়ারম্যানকে রেখে রাজস্ব খাতে কোনও বাস্তব সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি
একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতিভূ হিসেবে কাজ করছেন।”এছাড়া তিনি আরও জানান, একটি তালিকা অনুযায়ী ৪৪ জন আমলার মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন ৩ নম্বরে, যাঁরা তথাকথিত ‘পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের’ এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে এই তালিকায় থাকা ৬ জন আমলাকে বাধ্যতামূলক অবসরও দেওয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ ও ২২ জুন তারিখে একাধিক আদেশে শাটডাউন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে প্রতিহিংসামূলকভাবে। বিশেষ করে নেতৃত্বদানকারী পাঁচজন আয়কর কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব সম্ভাবনাময় এলাকায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, যেখানে তাদের যোগদানের জন্য কোনো সময়ও দেওয়া হয়নি। এমন আচরণ চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও বেআইনি।হাছান মুহম্মদ আরও বলেন, “এই অপসারণ ও বদলির আদেশ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ফল। তিনি রাজস্বখাতে সংস্কার রুখতেই বারবার ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছেন।” এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা পিছু হটবেন না এবং রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে শাটডাউনসহ ঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মন্তব্য (০)