ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি কর্মকর্তাদের এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি কর্মকর্তাদের এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি ভালো নির্বাচন নিশ্চিত করা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। বর্তমানে যেসব কাজ করছেন, সেগুলো আসলে বাইপ্রোডাক্ট। কিন্তু মূল কাজ এখন থেকেই নির্বাচনের জন্য মানসিক ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়া।” তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রণালয়গুলোর কিছু সংস্কার হচ্ছে সময়ের সুযোগে। তবে সেগুলোই মুখ্য নয়।”মতবিনিময় সভায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তার ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এখনই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে হবে। যাঁরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী, তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। কারণ, তাঁরা স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দেবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।”তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের সময় বৈধ অস্ত্রগুলো জমা নিয়ে রাখতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”সভায় চট্টগ্রামের আলোচিত কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল প্রকল্প নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, “এই প্রকল্প এখন শ্বেতহস্তীতে পরিণত হয়ে

ছে। প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ উঠে আসছে না।”তিনি মন্তব্য করেন, “টানেল বানানোর পর কেন এখন চিন্তা করছেন? আগে পরিকল্পনার সময়ই এসব ভাবা দরকার ছিল। এখন আনোয়ারা প্রান্তে বিলাসবহুল রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অথচ, সেই এলাকাই জনশূন্য। কে সেখানে বিনোদন নিতে যাবে?”“এই রিসোর্টগুলো বেসরকারি খাতে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে,” বলেন উপদেষ্টা। তবে কেউ নিতে আগ্রহী না হওয়ায় সংশয়ও প্রকাশ করেন তিনি। “এমনকি আয় না হলেও যেন অন্তত রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করা যায়—সেই উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা যেতে পারে।”টানেলকে তিনি আখ্যা দেন ‘শোপিস’, যা বেশিদিন মানুষ দেখতে আগ্রহী হবে না। তাঁর মতে, “টানেল কোনো বিনোদনের বস্তু নয়, এটা অবকাঠামো। কাজেই এর কার্যকারিতা না থাকলে শোভাবর্ধন করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।”সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহেদ হোসেন জানান, টানেলের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচলের হার অনেক কম। তিনি যানবাহন চলাচল বাড়াতে বিকল্প সড়ক প্রশস্ত করার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর