ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

কাভার্ড ভ্যানের চাকা বিস্ফোরণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

কাভার্ড ভ্যানের চাকা বিস্ফোরণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, দুর্ভোগে যাত্রীরা Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ রোববার ভোর থেকে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাব কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের ভবেরচর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। যানজটের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে, ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও চালকেরা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোর প্রায় ৫টার দিকে দাউদকান্দির বারপাড়া এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের চাকা হঠাৎ ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি মহাসড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ে, ফলে রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরই মাঝে আরেকটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একইভাবে রাস্তা আটকে দেয়, ফলে উভয় দিকেই সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।সকাল পর্যন্ত পুরো এলাকায় গাড়ির লাইন দাঁড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে দাউদকান্দি অংশের মেঘনা-গোমতী সেতু ঘিরে থাকা টোল প্লাজায় চাপ আরও বেড়ে যায়। উল্লেখ্য, এই পথ দিয়েই মূলত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করেন।সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহীদনগর এল

াকায় আটকে পড়া ইউনিক পরিবহনের বাসচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, “ঢাকা থেকে ছয়টায় রওনা হয়ে ভবেরচর পেরোতেই পৌনে তিন ঘণ্টা লেগে গেছে। ১৮ কিলোমিটার রাস্তা যেন শেষই হচ্ছিল না।” একই বাসের যাত্রী মোস্তাক আহমেদ জানান, “যানজটের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন।”দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ খান চৌধুরী জানান, “সকাল প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় দুইটি কাভার্ড ভ্যান সরিয়ে ফেলা হয়। তবে অনেক চালক উল্টো পথে গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে যানজট আরও ঘনীভূত করেছেন।” তিনি আরও জানান, “মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক দল দায়িত্ব পালন করছে।” এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছরই এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়, কিন্তু দূরদর্শী সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নেই। নিয়মিত ট্রাফিক নজরদারি, জরুরি সেবার উন্নয়ন ও যানবাহনের চেকিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর