স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ সেবা দেওয়া স্টারলিংক এখন থেকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরাও গ্রহণ করতে পারবেন। মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই সেবা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, স্টারলিংক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোন করে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি অবহিত করেছে। তিনি মঙ্গলবার সকালে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সবার সঙ্গে শেয়ার করেন।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “গতকাল সোমবার বিকেলে স্টারলিংক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় যে, তারা এখন থেকে বাংলাদেশে তাদের সেবা প্রদান শুরু করতে যাচ্ছে।”এছাড়াও, স্টারলিংক তাদের সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকেও বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশে এই সেবা গ্রহণ করতে মাসিক সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে আনুমানিক ৬ হাজার টাকা। তবে এটি নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর লোকেশন, প
্রয়োজনীয় ডিভাইস এবং অন্যান্য সংযোগ খরচের উপর।স্টারলিংক কী?স্টারলিংক হলো স্পেসএক্স–এর একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। বিশেষ করে দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে স্টারলিংকের সেবা কার্যকর ভূমিকা রাখছে।বাংলাদেশে এর প্রভাব কী হতে পারে?বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুর্বিনিয়োগে থাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইন্টারনেট সংযোগে স্টারলিংক একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় এটি হতে পারে একটি নতুন যুগের সূচনা।উল্লেখ্য, স্টারলিংকের সেবা নিতে গ্রাহকদের একটি বিশেষ ধরনের রিসিভার ডিভাইস প্রয়োজন হবে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং ঘরে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে। প্রাথমিকভাবে এর মূল্য কিছুটা বেশি হলেও ভবিষ্যতে এটি আরও সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা প্রযুক্তির জগতে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা দেশের ডিজিটাল বৈপ্লবিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মন্তব্য (০)