ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

ভারত

পাকিস্তান ইস্যুতে পোস্ট দেওয়ায় ভারতীয় অধ্যাপক গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে বিতর্ক

পাকিস্তান ইস্যুতে পোস্ট দেওয়ায় ভারতীয় অধ্যাপক গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে বিতর্ক Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

সামরিক অভিযানে সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্ন করায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগভারতের অভিজাত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আশোকা ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ-কে পাকিস্তান বিরোধী সামরিক অভিযানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও নারী সেনা কর্মকর্তাদের অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।কী ঘটেছিল?গতকাল রোববার, দিল্লি থেকে অধ্যাপক মাহমুদাবাদকে গ্রেপ্তার করে হরিয়ানা পুলিশ।এর আগে ৬ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুরে’র নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া দুই নারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং–এর ভূমিকা নিয়ে মাহমুদাবাদ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।তিনি লেখেন:“অনেক ডানপন্থী বিশ্লেষক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু গণপিটুনির শিকার, নির্বিচারে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং ঘৃণার রাজনীতির শিকার মানুষদের সুরক্ষা নিয়েও কথা বলা উচিত ছিল।”তিনি আরও লেখেন,“নারী সেনা কর্মকর্তাদের ব্রিফিং গুরুত্বপূর্ণ, তবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল না থাকলে তা শুধু ভণ্ডামি।”এই পোস্টে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, মুসলিম সেনা কর্মকর্তার পরিচয়, এবং বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি তুলে ধরার অভ

িযোগ আনা হয়। হরিয়ানা রাজ্যের নারী কমিশন পোস্টটিকে নারী সেনা কর্মকর্তাদের অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী আখ্যা দেয়।অভিযোগ ও মামলার পটভূমি:অভিযোগ দায়ের করেন হরিয়ানার বিজেপি যুব শাখার নেতা যোগেশ জাতেরিঅভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত ধারায় মামলা হয়অভিযোগের কয়েকদিন পর মাহমুদাবাদকে তলব করে হরিয়ানা নারী কমিশন, এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়মাহমুদাবাদের প্রতিক্রিয়া:তিনি বলেন,“আমার মন্তব্য ছিল সাধারণ নাগরিক ও সৈনিকদের জীবন রক্ষা নিয়ে। নারীবিরোধী কিছু বলিনি। ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।”তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবস্থান জানান এবং মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি।দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া:ভারতের অধ্যাপক, সমাজকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো মাহমুদাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।তাঁদের বক্তব্য, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে, সরকারের সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহ বলা হচ্ছে।”সংক্ষেপে মূল বার্তা:ভারতের এক অধ্যাপক সামরিক অভিযানে সরকারি আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন। এতে বিজেপি নেতা ও রাজ্য কমিশনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বনাম রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি করেছে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর