রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ রোববার (১ জুন) আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।এর আগে গত ১৪ মে দলটির দায়ের করা আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। আজ রায় ঘোষণার মাধ্যমে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের বৈধতা ফিরে পাওয়ার পথ পরিষ্কার হলো।এই মামলার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই বছর সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর নেতৃত্বে ২৫ ব্যক্তি হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন, যেখানে তারা নির্বাচন কমিশনের জামায়াতকে দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। তবে আদালত সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগও রেখেছিলেন।হাইকোর্

টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালেই ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াত। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের করা আপিল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। সেদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় মামলাটি 'ডিসমিসড ফর ডিফল্ট' হিসেবে খারিজ হয়ে যায়। পরে জামায়াত পক্ষ আবেদন করে দেরি মাফ করে পুনরায় আপিল চালু করার অনুমতি চান, যা ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়, যা চলে আরও কয়েকদিন। অবশেষে, সব শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন নির্ধারণ করা হয়, এবং আজ সেই রায়েই জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ বলে রায় দেন আপিল বিভাগ।এই রায়ের ফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পুনরায় কার্যকর হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।