বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পরিচালকদের ঋণ গ্রহণে কঠোরতা আরোপ করেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে ব্যাংক পরিচালকদের শুধু নিজের নামে নয়, বেনামি ও সুবিধাভোগী ঋণও হিসাবের আওতায় আসবে। ২০২৫ সালের ৮ মে, বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।নির্দেশনার মূল দিকগুলোবাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে: কোনো পরিচালক ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৫০% এর বেশি ঋণ নিতে পারবেন না। এক কোটি টাকার বেশি ঋণ নিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি আবশ্যক। এই সীমার মধ্যে পরিচালকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বেনামি এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের ঋণও অন্তর্ভুক্ত হবে। এই পদক্ষেপে পরিচালকদের মাধ্যমে গৃহীত গোপন বা বেনামি ঋণ হ্রাস পাবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের সীমা ও রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা কোনো একক বা সম্মিলিতভাবে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টিয়ার–১ মূলধনের ১০% এর বেশি ঋণ দেওয়া যাবে না। যদি এই সীমা লঙ্ঘন হয়, তাহলে: ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিক জানাতে হবে। একটি সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে হবে। অতিরিক্ত ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া নবায়ন বা পরিবর্তন করা যাবে না। পরিচালক ও ঊর্ধ্বতনদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা ৫০ লাখ টাকার বেশি প্রত্যক্ষ ঋণ বা এক কোটি টাকার বেশি সম্মিলিত
ঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি প্রয়োজন। এই অনুমতির জন্য প্রয়োজন হবে: সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) রিপোর্ট পর্ষদের অনুমোদন ন্যায্য আচরণের প্রমাণপত্র বিদ্যমান সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে আবেদন জমা দিতে হবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (MD) ও CEO–দের জন্য কঠোর বিধি ব্যাংক তাদের এমডি, সিইও কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য জামানতবিহীন ঋণ বা অগ্রিম দিতে পারবে না। তাঁরা কর্মচারী ঋণ প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। সাধারণ গ্রাহক হিসেবে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করা যাবে, তবে ইস্যুর কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। পূর্বানুমতি ছাড়া তাঁদের বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের কোনো সুদ বা মুনাফা মওকুফ করা যাবে না। ঋণ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমার বাধ্যবাধকতানির্দেশনা অনুসারে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরিচালকদের সরাসরি ও বেনামি ঋণের হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিত জমা দিতে হবে। এতে করে নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর হবে এবং অসাধু লেনদেন শনাক্তকরণ সহজ হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন নির্দেশনা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পরিচালকদের বেনামি ঋণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এটি হতে পারে একটি বড় বাঁধা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের কঠোরতা থাকলে ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের আস্থা আরও বাড়বে।
* * * Unlock Free Spins Today: http://phoneveri.com/index.php?o3x5q4 * * * hs=e88ee61954f1294ed6313d5431ef9a3d* ххх*
8bym2t
* * * <a href="http://phoneveri.com/index.php?o3x5q4">Claim Free iPhone 16</a> * * * hs=e88ee61954f1294ed6313d5431ef9a3d* ххх*
8bym2t