✅ অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার:সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার দিকে বেশি মনোযোগ (মুদ্রাস্ফীতি ও রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণ)।মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারে মনোযোগ কিছুটা কম, তবে ভেতরে ভেতরে কাজ চলার ইঙ্গিতও আছে।সরকারের উচিত সংস্কার-সংক্রান্ত কার্যক্রম জনগণকে জানানো।✅ সরকারের মেয়াদ নিয়ে দ্বিধা:সংক্ষিপ্ত মেয়াদের চিন্তায় সংস্কার এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা ও ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের জন্য এখনই সংস্কার জরুরি।সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, প্রথম ধাপেই ৫০% কাজ সম্পন্ন হয়।✅ বিনিয়োগ সম্মেলন ও বাস্তবতা:সম্মেলন করে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হলেও বাস্তব বিনিয়োগ আসতে সময় লাগে।সফল হতে হলে বিনিয়োগকারীদের "ট্র্যাকিং" করতে হবে এবং সমস্যা সমাধান করে যেতে হবে।বড়
অনুষ্ঠান না, বরং নীরব বাস্তব কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।✅ 'সিঙ্গাপুর হওয়া' প্রসঙ্গে:বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।তুলনা করা উচিত ভিয়েতনাম বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের সঙ্গে।কেবল ফলাফল নয়, সেই দেশগুলোর উন্নয়নের প্রক্রিয়া বোঝাও জরুরি।✅ বিনিয়োগ না বাড়ার কারণ:অর্থায়ন সমস্যা, উচ্চ সুদের হার, জমি ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যা।দেশীয় বাজার সংরক্ষণের কারণে রপ্তানিমুখী বিনিয়োগ কম।রপ্তানি খাতের বাইরেও নীতিগত প্রণোদনা কম।নীতিগত অনিশ্চয়তা ও বিধিবিধানগত জটিলতা বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে।প্রায় দুই দশক ধরে ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগের হার ২২-২৩ শতাংশে আটকে আছে।✅ বিশেষ সতর্কতা:বিদেশি বিনিয়োগকে যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করা উচিত, অন্ধভাবে নয়।সুযোগ ও ঝুঁকির সামঞ্জস্য রক্ষা করে এগোতে হবে।
মন্তব্য (০)