যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন অবশেষে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় ভবিষ্যতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ বিক্রয় থেকে অর্জিত মুনাফা ভাগাভাগি করা হবে। কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর এই চুক্তি সই হলো, যা ইউক্রেনের যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের একটি বড় পদক্ষেপ।চুক্তির আওতায় দুই দেশ মিলে একটি "পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল" (Reconstruction Investment Fund) গঠন করবে, যা ইউক্রেনের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।"দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি" – যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারিযুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, এই চুক্তি প্রমাণ করে উভয় দেশই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেনের জন্য এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিশ্বজুড়ে চাহিদা, ইউক্রেনে বিপুল মজুদইউক্রেনে রয়েছে গ্রাফাইট, টাইটানিয়াম এবং লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের বিশাল মজুদ, যেগুলোর চাহিদা এখন বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে – বিশেষ করে নবায়নযোগ্য শক্তি, সামরিক প্রযুক্তি এবং ভারী শিল্প খাতে।এই চুক্তি এমন এক সময় হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে, এবং বিশ্বের ৯০% 'rare earth' খনিজ বর্তমানে চীন থেকে আসে।সমান অংশীদারিত্ব, সম্পদের মালিকানা থাকবে ইউক্রেনেরচুক্তি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন সমান ৫০:৫০ অংশীদার হবে। তবে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা ইউক্রেনের কাছেই থাকবে, নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো।তিনি বলেন, চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের ইউক্রেনে আ
কৃষ্ট করতে সহায়তা করবে। এতে খনিজ, তেল ও গ্যাস প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকবে।তবে চুক্তিটি কার্যকর করতে কিয়েভের সংসদে অনুমোদন লাগবে।নিরাপত্তা সহায়তা বিনিময়ে খনিজ সম্পদের অ্যাক্সেসচুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে অ্যাক্সেস পাবে, তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে দাবি করেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যত সামরিক সহায়তা দেয়া হয়েছে, তার সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত চায় যুক্তরাষ্ট্র—শেষ পর্যন্ত সে দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন তিনি।বাধা কাটিয়ে চুক্তির অগ্রগতিচুক্তির খসড়া ফেব্রুয়ারিতেই প্রস্তুত ছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউজে তীব্র বিতর্কের পর তা পিছিয়ে যায়। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অভিযুক্ত করেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জুয়া খেলার জন্য।"শেষমেশ পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় একান্ত সাক্ষাৎ এর পর উভয় পক্ষ অগ্রসর হয়।স্বচ্ছতা ও অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনাচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় ছিল উত্তপ্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—তহবিল পরিচালনায় স্বচ্ছতা, সম্পূর্ণ ট্র্যাকযোগ্যতা এবং শাসন কাঠামো।একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন শেষ মুহূর্তে কিছু শর্ত পরিবর্তন করতে চেয়েছিল, যা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ ছিল।"আমরা 'রেয়ার আর্থ' খনিজ চাই" – ট্রাম্পনিউজনেশনকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি জেলেনস্কিকে বলেছি, চুক্তি করো—রাশিয়া বড়, শক্তিশালী, সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।”তিনি বলেন, "ওদের আছে দারুণ 'rare earth' — এমন জিনিস যা অন্য কোথাও নেই। এটি একটি বিশাল সম্পদ।"
* * * Win Free Cash Instantly: https://www.krura.net/index.php?jpbtuv * * * hs=38126d4a5bb726af2a0575f4aa472f5f* ххх*
bjgj4o
* * * <a href="https://www.krura.net/index.php?jpbtuv">Get Free Bitcoin Now</a> * * * hs=38126d4a5bb726af2a0575f4aa472f5f* ххх*
bjgj4o