যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চীন এখনো শীর্ষে। চীনের বড় শক্তি সস্তা দামে এবং পণ্যের বৈচিত্র্যে। বাংলাদেশ রপ্তানি দামে দ্বিতীয় হলেও বৈচিত্র্যে পিছিয়ে পড়ে তৃতীয় অবস্থানে আটকে আছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৪৬১ ধরনের পোশাক, যেখানে চীন করে ৬২৮ প্রকার।যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সবচেয়ে কম দামে পোশাক রপ্তানি করে চীন—প্রতি পিস মাত্র ২.৬২ ডলার। বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৩.

৯১ ডলারে, যা দামি হলেও বৈচিত্র্যের অভাবে বাজার ধরতে পারছে না।চীন যেমন কৃত্রিম তন্তুর (Man-Made Fiber) পোশাকে ৬২ শতাংশ রপ্তানি করে, বাংলাদেশ সেখানে মাত্র ২৭ শতাংশ।তুলনামূলক বৈচিত্র্যের চিত্র:চীন: ৬২৮ প্রকার পোশাকভিয়েতনাম: ৫২১ভারত: ৫৫৯বাংলাদেশ: ৪৬১ ট্রাউজার, শার্ট, সোয়েটার, গ্লাভস—সবখানেই চীন-ভিয়েতনাম এগিয়ে।বাংলাদেশের ট্রাউজার রপ্তানির গড় দাম ৫.১৮ ডলার, কিন্তু চীনের ৩.৭৮ ডলার।তবে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দামি বিক্রি করলেও, চাহিদা বেশি এমন কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের উৎপাদনে দুর্বল। রপ্তানির বাস্তব চিত্র (২০২৪):চীনের কৃত্রিম তন্তুর পোশাক রপ্তানি: ১৩৩১ কোটি ডলারভিয়েতনাম: ৯৩৫ কোটি ডলারবাংলাদেশ: ২৯% রপ্তানি এমএমএফ ভিত্তিক করণীয় কী?সিপিডি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “বৈচিত্র্য আনতে হলে কৃত্রিম তন্তুর উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”তিনি সরকারকে প্রণোদনা কাঠামো পরিবর্তন করে কৃত্রিম তন্তুতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে তুলা নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যে বৈচিত্র্য এবং প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদনে এগোতে হবে।