যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে। এশিয়ার বাজারে আজ সোমবার লেনদেন শুরুর পরই ডলারের টানা চার সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী ধারা থেমে যায়।মুডিসের ঋণমান হ্রাসের ঘোষণার পর ডলার দুর্বল হতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর আগে আরও দুটি ঋণমান নির্ধারণকারী সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ঋণমান হ্রাস করেছিল।ডলারের মান কমেছে ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁর বিপরীতেআজ সকালে জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান কমেছে ০.৩%, এখন প্রতি ডলার পাওয়া যাচ্ছে ১৪৫.২২ ইয়েনে। সুইস ফ্রাঁর বিপরীতেও ডলারের দর কমেছে ০.২%।অন্যদিকে, টানা তিন দিনের দরপতনের পর অস্ট্রেলীয় ডলারের মান ০.১% বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামীকাল নীতি সুদহার ০.২৫% কমাতে পারে, যা বর্তমানে ৪.১০% রয়েছে।ইউরো, পাউন্ড ও কিউই ডলারের মান বৃদ্ধিডলারের দুর্বলতার বিপরীতে ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরোর মান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.১১ ডলার (০.
২% বৃদ্ধি) এবং ব্রিটিশ পাউন্ড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩২ ডলার (০.১% বৃদ্ধি)।এছাড়া, নিউজিল্যান্ডের কিউই ডলার ০.১% বেড়ে এখন ৫৯ সেন্ট।অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও নীতিগত অবস্থান নিয়ে উদ্বেগঅস্ট্রেলিয়ার এএনজেড ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা গবেষণা বিভাগের প্রধান মাহজাবীন জামান বলেছেন, “মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ এবং প্রশাসনের নীতিগত অবস্থান বিনিয়োগকারীদের ডলার থেকে দূরে রাখছে। ফলে ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।”ট্রাম্পের নীতিতে ভবিষ্যৎ চাপে ডলাররোববার দেওয়া একাধিক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, যারা ‘সদ্বিশ্বাসে’ আলোচনায় বসবে না, তাদের ওপর আগের পাল্টা শুল্কই বহাল রাখা হবে।এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাইকারি করছাড়ের একটি বিল পাস করানোর চেষ্টা করছেন, তবে রিপাবলিকান দলেই এর বিরোধিতা দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই বিল বাস্তবায়িত হলে আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ আরও ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা ডলারের ওপর আরও চাপ তৈরি করতে পারে।
মন্তব্য (০)