ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

চুরি

যৌথ বাহিনী পরিচয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৭০ ভরি সোনা লুট: জড়িত চার পুলিশ সদস্যের তিনজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনী পরিচয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৭০ ভরি সোনা লুট: জড়িত চার পুলিশ সদস্যের তিনজন গ্রেপ্তার Image প্রতীকী ছবি | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

পুলিশ পরিচয়ে ভয়ভীতি, হাতকড়া ও গুলি করার হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ ভরি সোনা লুটে নেয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আর সেই চক্রের সদস্য হিসেবে এবার প্রমাণ মিলেছে পুলিশের চার সদস্যের জড়িত থাকার। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য—কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন সরকার, কনস্টেবল মিজানুর রহমান ও আবু বকরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালামকেও আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে বন্দি।তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের এসআই মো.

ইরফান খান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশের এই সদস্যদের সোনালুটের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চতুর্থ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল হানিফ এখনও পলাতক, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।ঘটনার বর্ণনা: পরিকল্পিত অপহরণ ও লুটভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর, তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর খালা সাজিয়া সুলতানা ও খালাতো বোন জিনাত সুলতানা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁরা উবারে একটি প্রাইভেট কারে করে পুরান ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।গাড়িটি যখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা অতিক্রম করে মগবাজারের দিকে যাচ্ছিল, তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় পুলিশের স্টিকারযুক্ত একটি কালো মাইক্রোবাস। সেখান থেকে নেমে আসে চার ব্যক্তি, নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে সাইফুলসহ সবাইকে হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।গাড়ির জানালাগুলো ছিল কালো গ্লাসে আবৃত, বাইরে থেকে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এরপর মারধর করে এবং ‘মাদকের মামলা’ ও ‘গুলি করে মেরে ফেলার’ ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ৭০ ভরি সোনা লুটে নেয়া হয়। শেষে ৩০০ ফিট এলাকায় গিয়ে তাঁদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় চক্রটি।ভয়ে মামলা করতে দেরিযদিও ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, কিন্তু মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ভয়ে প্রথমে মামলা করিনি, পরে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই।’তদন্ত ও স্বীকারোক্তিমামলার পর প্রথমে গ্রেপ্তার হন মাইক্রোবাস চালক আবদুস সালাম। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে ৯ মার্চ গ্রেপ্তার হন কনস্টেবল মিজানুর রহমান। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এসআই রিপন সরকারের নাম প্রকাশ করেন।ডিবির এসআই ইরফান খান জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুরো ঘটনার পেছনে থাকা পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। এরপর রিপন, মিজানুর ও আবু বকরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সংক্ষিপ্তভাবে মূল তথ্য:ঘটনার তারিখ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩মামলার তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪লুট হওয়া সোনা: ৭০ ভরিগ্রেপ্তার: ৩ পুলিশ সদস্য + ১ মাইক্রোবাস চালকপলাতক: কনস্টেবল হানিফ

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর