ভারতের নতুন আমদানি বিধিনিষেধে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশি রপ্তানি। বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে গেছে প্রাণ গ্রুপের খাদ্যপণ্যবোঝাই ১৭টি ট্রাক।আজ রোববার সকালে ট্রাকগুলো পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির উদ্দেশে ভারতের বুড়িমারী সীমান্ত অতিক্রম করার কথা ছিল। তবে ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।নতুন বিধিনিষেধে হঠাৎ বিপদে প্রাণশনিবার (গতকাল) বাংলাদেশ প্রান্তে পৌঁছায় প্রাণ আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যবোঝাই ১৭টি ট্রাক। প্রত্যাশা ছিল আজই তা ভারতে প্রবেশ করবে। কিন্তু গতকালই ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে কিছু পণ্যের উপর আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করে। এর আওতায় পড়ে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য ও পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য।এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলো আটকে দেয়। ফলে বুড়িমারী সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাকগুলো।১ কোটি টাকার বেশি পণ্যে বিপর্যয়প্রাণ আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল গণমাধ্যমকে জানান,“ভারত সরকারের বিধিনিষেধের কারণে আমাদের খাদ্যপণ্যবোঝাই ১৭ ট্রাক

বুড়িমারী বন্দরে আটকে গেছে। পণ্যগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আমরা ট্রাকগুলো ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন কোনো রপ্তানি পাঠানো হচ্ছে না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”স্থলবন্দরে অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় রপ্তানিকারকরাভারত হঠাৎ করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করায় বুড়িমারীসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সীমান্তে পণ্য আটকে পড়া এবং আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে স্বচ্ছ নীতিমালা ও আগাম বার্তার অভাবেই এমন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দ্রুত সমাধান এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে।ভারতের হঠাৎ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণের মতো বড় কোম্পানিও এর ব্যতিক্রম নয়। সীমান্তে পণ্য আটকে পড়ার এ ঘটনাটি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল।