ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

বিশ্ববাণিজ্য

ভারতে রপ্তানি ১৫৭ কোটি, আমদানি ৯০০ কোটি ডলার: বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি

ভারতে রপ্তানি ১৫৭ কোটি, আমদানি ৯০০ কোটি ডলার: বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি Image প্রতীকী ছবি | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে বারবারই ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের শেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, বিপরীতে রপ্তানি করেছে মাত্র ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য। এই বিশাল ব্যবধান দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা দিলেও বাংলাদেশ তা সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। যদিও ধীরে ধীরে রপ্তানি বাড়লেও, বাণিজ্য ভারসাম্য এখনও ভারতের দিকেই ঝুঁকে আছে।নতুন ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানি বন্ধশনিবার ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্যের স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এখন থেকে শুধু নব সেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পোশাক আমদানি করা যাবে। ফলে স্থলপথে যেসব ব্যবসায়ী রপ্তানি করতেন, তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।এছাড়াও, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তের ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে ফল, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত

খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা ও আসবাব রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশনেও এই বিধিনিষেধ কার্যকর।রপ্তানিকারকরা শঙ্কায়: নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্টইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ভারতে:৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক১৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের তুলা ও তুলার সুতার ঝুট৬৫ লাখ ডলারের আসবাবরপ্তানি হয়। এগুলোর বেশিরভাগই স্থলপথে রপ্তানি করা হতো। ভারতের নতুন বিধিনিষেধে এসব খাত এখন বড় ক্ষতির মুখে।বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়াবাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে গত এপ্রিলে ভারত বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাও বাতিল করেছিল।বিশেষজ্ঞদের মতবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানির সুযোগ তৈরি ও পণ্যের মান উন্নয়ন জরুরি। তা না হলে, বাংলাদেশ আরও বড় বাণিজ্য ঘাটতির শিকার হতে পারে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর