যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে "পুরোপুরি পাগল" আখ্যা দিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ বিমান হামলার পর।নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, "আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময়ই তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এখন সে রকেট ছুড়ে মানুষ হত্যা করছে – এটা আমার একদমই পছন্দ না।" পরে ট্রুথ সোশালে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, "পুতিন পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে।"মারাত্মক রুশ হামলা ও হতাহতের খবরগত রোববার রাতে ইউক্রেনে রাশিয়ার ছোঁড়া ৩৬৭টি ড্রোন ও মিসাইল আঘাত হানে—যা ২০২২ সালে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের পর একরাতে সর্বোচ্চ হামলা।কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছে।খারকিভ শহরে এক শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে। দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর আকাশে ইউক্রেনীয় দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোব্যানিন।ইউক্রেনের অভিযোগ: আমেরিকার নীরবতা উৎসাহ দিচ্ছে পুতিনকেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকার নীরবতা পুতিনকে উৎসাহিত করছে। তিনি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।শান্তি

আলোচনার অগ্রগতি নেইগত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে দুই ঘণ্টার ফোনালাপ হয়, যেখানে ট্রাম্প একটি যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপস্থাপন করেন। ট্রাম্প বলেন, "আলোচনা খুব ভালো হয়েছে" এবং দুই পক্ষ "তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির" দিকে এগোবে।ইউক্রেন ইতোমধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, তবে পুতিন কেবল একটি "ভবিষ্যৎ শান্তির সম্ভাব্য স্মারক" চুক্তির কথা বলেছেন। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এটিকে সময়ক্ষেপণমূলক কৌশল হিসেবে দেখছে।ট্রাম্পের তিরস্কার জেলেনস্কির প্রতিওট্রাম্প বলেন, "জেলেনস্কি যেভাবে কথা বলেন, তা দেশের কোনো উপকার করছে না। তাঁর মুখ থেকে যা-ই বের হয়, তাতে সমস্যা তৈরি হয়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।"বর্তমান চিত্ররাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০% ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া, যা ২০১৪ সালে দখল করা হয়।১৬ মে ইস্তানবুলে প্রথম সরাসরি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও কার্যত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে পুতিনের ভূমিকা এবং ট্রাম্পের অবস্থান নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়লেও বাস্তব অগ্রগতি এখনও অনিশ্চিত।