ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কে অনুষ্ঠেয় শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, এমনটাই জানিয়েছে ক্রেমলিন। আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাডভাইজার ভ্লাদিমির মেডিনস্কি।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছিলেন, যদি পুতিন উপস্থিত থাকেন তবে তিনিও আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে পুতিনের অনুপস্থিতির খবরে জেলেনস্কির অবস্থান কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।জেলেনস্কি বর্তমানে আঙ্কারায় রয়েছেন, যেখানে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বলেছেন, “আমি অপেক্ষা করছি রাশিয়ার পক্ষ থেকে কে আসছে সেটা দেখার জন্য, তারপর ইউক্রেন কী পদক্ষেপ নেবে তা নির্ধারণ করব। এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক কিছু দেখছি না।”এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আলোচনায় যাচ্ছেন না, যদিও আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, পুতিন গেলে তিনিও যাবেন। বর্তমানে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন।২০২২ সালের মার্চে ইস্তানবুলেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি আলোচনা হয়েছিল, যা ছিল রাশিয়ার
পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রথম দিকের একটি চেষ্টা।রোববার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সরাসরি আলোচনা চেয়েছিলেন তুরস্কে, যেখানে তিনি কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার কথা বলেন। এর পরপরই জেলেনস্কি ঘোষণা দেন তিনি নিজেই ইস্তানবুলে যাবেন, যদি পুতিনও যান।এই শান্তি উদ্যোগকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে, যা ইউরোপীয় নেতাদের কিয়েভ সফরের পরে আসে।ট্রাম্পও জেলেনস্কিকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান, এবং Truth Social-এ পোস্ট করেন: “রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্যভাবে একটি মহান দিন!”যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইতোমধ্যেই তুরস্কে পৌঁছেছেন, এবং বৃহস্পতিবার ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি শুক্রবার ইস্তানবুলে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন।ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা জানিয়েছেন, রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন এবং রাশিয়াকে “ইউক্রেনের গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতিদান দিতে” আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য (০)