ইসরায়েলি বাহিনী আবারও গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে, যেখানে গাজা সিটির একটি স্কুল, যা আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছিল, সরাসরি হামলার শিকার হয়। এই হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন শিশু আগুনে পুড়ে মারা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার সময় ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বহু মানুষ আটকা পড়ে। আশ্রয় নেওয়া লোকজনের বেশিরভাগই ঘরছাড়া পরিবার।ধ্বংসের মুখে হাসপাতাল ও উদ্ধারযন্ত্রএই হামলার মাত্র একদিন আগে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণে আরও অন্তত ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এছাড়া গাজা সিটির এল দোরা শিশু হাসপাতাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত বুলডোজারগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।গাজার বিভিন্ন অংশে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন, যাদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।মধ্যস্থতায় কাতারের চেষ্টা অব্যাহতকাতা
রের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানী জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দোহা। তবে এখনো স্থায়ী কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।মৃত্যুর মিছিল অব্যাহতগাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, গত ১৮ মাসে ইসরায়েলের আগ্রাসনে ৫১,২৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,১৬,৯৯১ জন।অন্যদিকে, গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস বলেছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই।অক্টোবর ৭ এর হামলা ও প্রতিক্রিয়াইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন এক হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি বন্দি হন। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় পূর্ণ মাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে।
মন্তব্য (০)