গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ মানবিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত বুলডোজার লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানো ও নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের মতো কাজে ব্যবহৃত এসব বুলডোজার ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আল-মুগাইয়্যির জানিয়েছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া আন-নাজলা পৌরসভার গ্যারেজে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয়টি বুলডোজার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে।তিনি জানান, “মেশিনগুলোর অবস্থান সম্পর্কে আগেই মিসর- কাতার সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে একটি চুক্তি হয় এবং সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকা ও অবস্থানসমূহের সঠিক সমন্বয় বা স্থানাঙ্ক ইসরায়েলকেও জানানো হয়েছিল।”আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনড.
আল-মুগাইয়্যির এই হামলাকে “আন্তর্জাতিক আইনের একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেন, কারণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে বেসামরিক উদ্ধার সরঞ্জাম ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।তিনি আরও বলেন, “এই এলাকাকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কখনোই কোনো সামরিক এলাকা বা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেনি।” তাই এখানে হামলা চালানো কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।মানবিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিএই বুলডোজারগুলো গাজার সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল—বিশেষ করে বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধার এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারে।গাজার সিভিল ডিফেন্স এই ধরনের হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মন্তব্য (০)