ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। পাকিস্তান এই জবাবি অভিযানের নাম দিয়েছে “অপারেশন বুনিয়ান মারসুস”, যার অর্থ ‘সিসা নির্মিত এক কাঠামো’।শনিবার (১০ মে) সকালে পাকিস্তান দাবি করে যে, ভারত টানা চতুর্থ রাত তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালায়। পাকিস্তানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিতে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।পাকিস্তান যে ঘাঁটিগুলোতে হামলার কথা জানিয়েছে তা হলো:নূর খান বিমান ঘাঁটি – রাওয়ালপিন্ডির কাছাকাছি অবস্থিত, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সাপোর্ট কেন্দ্র।মুরীদ বিমান ঘাঁটি – ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে চাকওয়ালে অবস্থিত, যা একটি ফোরওয়ার্ড অপারেটিং বেস।রফিকি বিমান ঘাঁটি – পাঞ্জাবের শোরকোটে অবস্থিত, যেখানে যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রন অবস্থান করে।এই হামলার জবাবে পাকিস্তান ভারতীয় ছয়টি সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানার দাবি করে, যার মধ্যে রয়েছে:উধমপুর বিমান ঘাঁটি – ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ড সদর দপ্তর

।পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি – ভারতের পাঞ্জাবে, যেখানকার ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলায় ছয়জন ভারতীয় সৈনিক নিহত হন।দ্রাংয়ারি কামান ঘাঁটি, উরি সাপোর্ট ডিপো, নাগরোটা ব্রাহ্মোস মিসাইল স্টোরেজ, বিয়াস মিসাইল ডিপো, আদমপুর বিমান ঘাঁটি (এস-৪০০ ডিফেন্স), এবং ভুজ বিমান ঘাঁটি (গুজরাটে মোদির নিজ রাজ্যে)।ভারতের প্রতিক্রিয়া:ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানকে উসকানির জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, “ভারত কেবল প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাল্টা জবাব দিচ্ছে।”এই ঘটনাগুলো কাশ্মীর অঞ্চলের বাইরেও বিস্তৃত হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এখন এক বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আগে কেবলমাত্র চারটি যুদ্ধেই তারা একে অপরের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল।আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগবিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।বর্তমানে উভয় দেশই পরস্পরকে আগ্রাসনের জন্য দায়ী করছে, কিন্তু এই পাল্টাপাল্টি হামলা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে।