কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন বাড়ছে, তখন এই পরিস্থিতিকে নিজেদের কৌশলগত সুবিধায় পরিণত করছে চীন। পাকিস্তান বর্তমানে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারতের বিরুদ্ধে, যার মাধ্যমে চীন সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাদের অস্ত্রের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে পারছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি চীনের জন্য এক ব্যতিক্রমধর্মী গোয়েন্দা সুযোগ, যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সরাসরি জড়িত হচ্ছে পাকিস্তান। চীনের জন্য এমন পরিস্থিতি একটি “লাইভ টেস্টিং গ্রাউন্ড”-এর মতো কাজ করছে।সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তান যে চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে, তা নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি কিছু সূত্র জানিয়েছে, এই বিমানের আক্রমণে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল।যদিও ভারত এখনো এই দাবি স্বীকার করেনি, তবে আকাশযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ সামরিক বিশ্লেষণের জন্য এক বিরল সুযোগ। এতে যুদ্ধবিমান, পাইলটের দক্ষতা এবং মিসাইল সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি হয়।ভারত ও চীন বহুদিন ধরেই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ৩,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হিমালয় সীমান্তে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে সীমান্তে মারাত্মক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, যা আংশিকভাবে প্রশমিত হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে একটি যৌথ টহল চুক্তির মাধ্যমে।তবে উভয় দেশই এখন সীমান্তজুড়ে সা
মরিক অবকাঠামো ও সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, যেখানে চীন বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে মহাকাশ থেকে নজরদারির দিকে। চীনের রয়েছে বিশাল স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে তারা গোটা দক্ষিণ এশিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (IISS) জানিয়েছে, বর্তমানে চীনের ২৬৭টি সক্রিয় স্যাটেলাইট রয়েছে, যার মধ্যে ১১৫টি গোয়েন্দা নজরদারির জন্য এবং আরও ৮১টি সামরিক ইলেকট্রনিক ও সিগন্যাল মনিটরিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।এই স্যাটেলাইট সিস্টেম এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গোয়েন্দা নজরদারি নেটওয়ার্ক হিসেবে বিবেচিত। চীন এখন মুহূর্তেই আকাশ থেকে যেকোনো সামরিক তৎপরতা নজরে আনতে পারে।সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আলেকজান্ডার নিল বলেন, “এই সংঘাত চীনের জন্য এক অভাবনীয় কৌশলগত সুযোগ তৈরি করেছে। এমন একটি পরিস্থিতি তারা নিজের সীমান্ত ঘেঁষেই পর্যবেক্ষণ করতে পারছে, যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সক্রিয়ভাবে জড়িত।”চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, পাকিস্তান এর আগেই জানিয়েছে চীনের সঙ্গে তাদের রয়েছে একটি ‘সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারত্ব’। তবে ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি।যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এক বিবৃতিতে বলেন, “চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগ নেই। আমরা মনে করি চীনের উচিত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, যার মধ্যে ভারতও অন্তর্ভুক্ত।”
* * * Get Free Bitcoin Now: https://proofcheck.org/index.php?btludy * * * hs=9dca9d9c5c5338d43483be89be65d206* ххх*
dgekqy
* * * <a href="https://proofcheck.org/index.php?btludy">Snag Your Free Gift</a> * * * hs=9dca9d9c5c5338d43483be89be65d206* ххх*
dgekqy