ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একযোগে সফর করেছেন ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও পোল্যান্ডের শীর্ষ নেতারা, যেখানে তাঁরা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের নির্ধারিত যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়েছেন।এই প্রথমবারের মতো ইউরোপের চারটি দেশের শীর্ষ নেতারা যৌথভাবে ইউক্রেন সফরে গেলেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শনিবার পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে কিয়েভ পৌঁছান। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক জানান, “এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে ন্যায়সঙ্গত শান্তির মাধ্যমে। মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে হবে।”এই সফরের একদিন আগেই মস্কোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তির প্যারেডে পুতিন ফের একবার দৃঢ় অবস্থান নেন। সেই প্রেক্ষাপটেই ইউরোপীয় এই কূটনৈতিক একাত্মতা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেননি।আল-জাজিরার কিয়েভ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই সফর প্রতীকী হলেও বাস্তবধর্মী আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,
যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় রাখা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি ইউরোপীয় বাহিনী গঠনের বিষয়ে আলোচনা।নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “আমরা রাশিয়ার প্রতি পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু করা যায়।”তাঁরা আরও বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে, রাশিয়াকে তার অবৈধ আগ্রাসন থামাতে হবে, এবং ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে একটি নিরাপদ, স্বাধীন ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিকশিত হতে দিতে হবে।”নেতারা ইউক্রেনকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবং রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে না গেলে মস্কোর ওপর চাপ আরও বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনের মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে, নতুবা ইউক্রেন লাভবান হবে। বর্তমানে রুশ বাহিনী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে।”রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। এখনো তারা ইউরোপীয় নেতাদের শান্তি আহ্বানে সাড়া দেয়নি।ট্রাম্পও যুদ্ধ থামাতে আগ্রহ দেখালেও ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছাড়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলেন, যদিও তিনি রাশিয়ার অনড় অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করেন।
* * * Get Free Bitcoin Now: https://www.krura.net/index.php?gnrwcn * * * hs=1a95bd8a595ddf55c0035c82bdf781ab* ххх*
d9rdsc
* * * <a href="https://www.krura.net/index.php?gnrwcn">Snag Your Free Gift</a> * * * hs=1a95bd8a595ddf55c0035c82bdf781ab* ххх*
d9rdsc