ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আকস্মিক বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, এটি ছিল দুজনের মধ্যে ‘সর্বকালের সেরা আলোচনা’। বৈঠকে মূলত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।আলোচনার মূল বিষয়বস্তুব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জেলেনস্কি বৈঠকে ট্রাম্পের সামনে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরালোভাবে কার্যকর করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “আমি ট্রাম্পের কাছে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে তার প্রতিক্রিয়া ছিল ‘অত্যন্ত শক্তিশালী’।” তবে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঐকমত্যজেলেনস্কি জানান, তিনি ও ট্রাম্প একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সম্ভাব্য ‘৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি’ যুদ্ধ অবসানের পথে একটি বাস্তবসম্মত প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে। এই যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্য হবে কূটনৈতিকভাবে টেকসই সমাধ

ানের পথ তৈরি করা।মার্কিন বিনিয়োগে খনিজ সম্পদের চুক্তিবৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি সই হয়েছে, যা ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন জেলেনস্কি।চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে, এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনে বড় অবদান রাখতে পারবে।জেলেনস্কি বলেন, “এই চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে মার্কিন বিনিয়োগ ইউক্রেনের জনগণ ও ভূখণ্ড রক্ষায় সহায়ক হবে। সবচেয়ে বড় কথা, বিনিয়োগ থেকে অর্জিত অর্থ ইউক্রেনেই পুনঃবিনিয়োগ হবে, বিদেশে পাচার হবে না।”তহবিল ও তত্ত্বাবধান কাঠামো চুক্তির আওতায় একটি তহবিল গঠন করা হবে, যা বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার কাজ পরিচালনা করবে। এই তহবিল পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সমান সংখ্যক (৩+৩) প্রতিনিধি নিয়ে একটি তত্ত্বাবধান বোর্ড গঠন করা হবে, যারা পুরো প্রকল্প তদারকি এবং পরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন।