ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধ দুর্ভোগে দেড় লাখের বেশি মানুষ, সংকটে জীবনযাপন

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধ দুর্ভোগে দেড় লাখের বেশি মানুষ, সংকটে জীবনযাপন Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৪৩

টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত পেরিয়ে গেলেও এখনো জলমগ্ন রয়েছে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল। শহরের প্রাণকেন্দ্র মাইজদীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।দুই দিন ধরে বৃষ্টি না হলেও জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি অফিস, আদালত ও আবাসিক এলাকাগুলোতে জমে থাকা পানি নামেনি। জেলা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলা কলেজ সংলগ্ন দরগাবাড়ি ও কাজি কলোনি এলাকার সড়কগুলো এখনো জলাবদ্ধ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনো প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন। বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে ৫৭টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে কবিরহাটে ২৫টি, সুবর্ণচরে ২১টি ও সেনবাগে ১২টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত।ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা কিছুটা কমেছে। এ সময়ের মধ্যে ৭৯৪ জন মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরেছেন। তবুও এখনো ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬ জন আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় রয়েছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত মাইজদীতে মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।আজ সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা য

ায়, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, কলেজপাড়া, হরিজন সম্প্রদায়ের কলোনি, দরগাবাড়ি ও কাজি কলোনি এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। পানি নামতে দেরি হওয়ায় এলাকাবাসীকে হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।বেগমগঞ্জ থেকে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থী আবদুল জলিল বলেন, “গত সপ্তাহে দুবার আদালতে আসতে হয়েছে। প্রতিবারই পানিতে ভিজে বারান্দায় উঠতে হয়েছে। এটি খুবই কষ্টকর ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি।”দরগাবাড়ির বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, “এই এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবার বসবাস করে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ও ঘরের আঙিনা ডুবে যায়। আগের ড্রেনগুলোর অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে, যার ফলে জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।”অন্যদিকে জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ও ধান শালিক ইউনিয়নের গ্রামীণ অংশে এখনো জলাবদ্ধতা অব্যাহত রয়েছে। বসতঘর, স্কুল ও স্থানীয় সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে আছে, ফলে সেখানকার বাসিন্দারা প্রচণ্ড দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন টেকসই ব্যবস্থা স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছরই সামান্য বৃষ্টিতেই নোয়াখালী শহর ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কিন্তু এর কোনো স্থায়ী সমাধান নেওয়া হচ্ছে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খাল ও নালা দখলমুক্ত করা এবং সঠিক পরিকল্পনায় পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর