ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

সম্পর্ক

প্রাক্তনের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কীভাবে আচরণ করবেন?

প্রাক্তনের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কীভাবে আচরণ করবেন? Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৫২

সব প্রেমের গল্পের পরিণতি একরকম হয় না। অনেক ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না—থেকে যায় শুধুই অতীতের স্মৃতি। সম্পর্কের মাঝে শত চেষ্টার পরেও কিছু দূরত্ব থেকে যায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেড়ে গিয়ে সম্পর্কের ইতি ঘটায়। এমনকি কেউ একজন হয়তো অন্য কারও সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করে ফেলে। তবুও সেই পুরোনো সম্পর্কের ছায়া মাঝে মাঝে আচমকা ফিরে আসে, বিশেষ করে হঠাৎ যদি দেখা হয়ে যায় প্রাক্তনের সঙ্গে।হঠাৎ দেখা – এক অপ্রস্তুত মুহূর্তধরা যাক, কোনো বাজারে, রেস্টুরেন্টে কিংবা অফিস সংলগ্ন রাস্তায় হঠাৎই চোখ পড়ে প্রাক্তনের দিকে। হৃদয়ের গোপন আবেগ তখন যেন চোখের সামনে হাজির হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় কী করবেন?অনেকেই হয়তো মুখ ফিরিয়ে নেন, কেউ কেউ এমনও আছেন যারা আড়ষ্টভাবে সরে যান বা পুরোনো ক্ষোভ উগরে দেন। কিন্তু এমন আচরণ কি প্রাপ্তবয়স্ক ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের পরিচায়ক?মনোবিদরা যা বলেনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজির আহম্মদ মনে করেন, "ভালোবাসা মানেই কাউকে ভালো রাখা। সম্পর্ক ভেঙে গেলেও প্রাক্তনের মঙ্গল কামনা করা একটি ইতিবাচক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।" তিনি আরও বলেন, হঠাৎ দেখা হলে অন্তত একটি হাসি কিংবা সংক্ষিপ্ত সৌজন্যবোধ প্রকাশ করা উচিত।বিচ্ছেদ মানেই শেষ নয়ভালোবাসা সবসময় পরিণয়ে পৌঁছায় না। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ভাষায়, ফলাফল নয়, প্রচেষ্টার মাঝেই নিহিত থাকে আসল সৌন্দর্য। সম্পর্কের ইতি মানেই ভালোবাসার মৃত্যু নয়। সেই অনুভূতির প্রতি সম্মান রেখেও সৌজন্যমূলক আচরণ করা সম্ভব।কীভাবে সংযত থাকবেন হঠাৎ দেখা হলে?১.

নিজেকে প্রস্তুত রাখুন – প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। সেই অবস্থায় আপনি যাতে নিজেকে সম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, সেজন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। নিজেকে উপস্থাপন করুন আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে – পরিপাটি পোশাক, গঠনমূলক মনোভাব এবং সংযত চেহারাই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। চোখে চোখ রেখে একটি মৃদু হাসি দিন – মুখ নিচু না করে চোখে চোখ রেখে হালকা হাসি দেওয়া শুধু ভদ্রতা নয়, এটি আপনার আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক পরিপক্বতার পরিচয়ও। ছোট করে বিনীতভাবে কথা বলুন – "কেমন আছো?", "ভালো থেকো"—এই ধরনের সংক্ষিপ্ত বাক্য সম্পর্কিত সৌজন্য বজায় রাখতে যথেষ্ট। পুরোনো অভিযোগে না ফিরে কেবল বর্তমান থাকুন – কোনো অভিযোগ, অতীতের কষ্ট কিংবা বিষাদ যেন আপনার কথায় না ফুটে ওঠে। লম্বা সময় ধরে কথোপকথনের প্রয়োজন নেই – একদম সংক্ষিপ্ত সৌজন্য বিনিময়েই সীমাবদ্ধ থাকাই শ্রেয়। এতে অপ্রয়োজনীয় আবেগ বা ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়। নিজের প্রতি যত্ন নেওয়াটাই মূল বিষয়বিচ্ছেদের পর সবচেয়ে জরুরি হলো নিজের অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া, এবং নিজেকে ভালো রাখা। এই সময়ে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরামর্শদাতার সঙ্গে মন খুলে কথা বললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে আসে।প্রাক্তনের স্মৃতি বা চিন্তা যদি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে, তাহলে হঠাৎ দেখা হলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই প্রয়োজন নিজের চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা।শেষ কথায়... ভালোবাসা যদি সত্যিই ছিল, তবে সম্পর্ক শেষ হলেও শ্রদ্ধা যেন শেষ না হয়। প্রাক্তনের সঙ্গে আচমকা দেখা হয়ে গেলে আত্মসম্মান বজায় রেখে, শান্ত, ভদ্র ও পরিপক্ব আচরণ করাটাই প্রমাণ করে আপনি সম্পর্ক থেকে কী শিখেছেন। এটাই আপনাকে আলাদা করে চিনিয়ে দেবে—একজন পরিণত, দায়িত্বশীল এবং ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য বোঝা মানুষ হিসেবে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর