বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত থাকবেন কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদিও তিনি এখনো দলের নেতৃত্বে রয়েছেন, তবে ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালন করবেন কি না, তা নির্ভর করছে বিসিবির সঙ্গে তাঁর কিছু নির্দিষ্ট আলোচনার ওপর।নেতৃত্বে রদবদল থেকেই শুরু বিতর্কশ্রীলঙ্কা সফরের আগে বিসিবির আকস্মিক সিদ্ধান্তে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব হারান শান্ত। তাঁর পরিবর্তে নতুন অধিনায়ক করা হয় অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। তখনই শান্ত বিসিবিকে জানিয়ে দেন—যদি তাঁকে ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে টেস্ট দলেও তিনি অধিনায়ক থাকতে আগ্রহী নন।সামনে ৫ মাস সময়কলম্বো টেস্টের পর দীর্ঘ পাঁচ মাস বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ নেই। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেই টেস্ট ফিরবে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই নয়, ভাবনার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধশান্তকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিসিবির দিক থেকে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। শুধু বলা হয়েছে যে মিরাজ হবেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক, কিন্তু কেন শান্তকে সরানো হলো—সেটি তাঁকেও জানানো হয়নি।একজন অধিনায়ককে সরানোর আগে অন্তত তাঁর সঙ্গে আলোচনার সৌজন্য দেখানো উচিত ছিল, যা এখানে হয়নি বলেই সমালোচনা হচ্ছে বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। তিন সংস্করণ, কিন্তু একটি লক্ষ্যগত বছর ফেব্রুয়ারিতে শান্ত তিন সংস্করণের অধিনায়ক হয়েছিলেন। এরপর ধাপে ধাপে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব লিটন দাসের, ওয়ানডের মিরাজের হাতে দেওয়া হয়। এখন শান্ত আছেন কেবল টেস্টের নেতৃত্বে।তিন সংস্করণে ভিন্ন অধিনায়ক রাখার বিপক্ষে শান্ত সব সময়ই ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, একই অধিনায়কের অধীনে দল পরিচালনা হলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হয় এবং ড্রেসিংরুমে বিভ্রান্তিও কমে।নেতৃত্বে থাকলে কী চান শান্
ত?শান্ত যদি আবারও টেস্ট অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চান, তাহলে বিসিবির কাছ থেকে চাইতে পারেন কিছু স্পষ্ট দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব। তিনি চাইবেন, টেস্ট দলের নির্বাচনে, পরিকল্পনায় এবং দলে কাঠামো গঠনে তাঁর মতামত ও সিদ্ধান্তের যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হোক। শান্তর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বঅধিনায়ক হিসেবে শান্ত বরাবরই দায়িত্বশীল ও চিন্তাশীল। মাঠের বাইরেও খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন, কোচিং স্টাফের সঙ্গেও ভালো বোঝাপড়া তৈরি করেছেন। দেড় বছরের নেতৃত্বে ধাপে ধাপে দলের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, কিন্তু হঠাৎ করেই সেসব থেমে গেল ওয়ানডে নেতৃত্ব হারানোর ফলে। একাধিক অধিনায়কের সমস্যার দিকবাংলাদেশ দলে প্রায় একই ক্রিকেটার তিন সংস্করণেই খেলেন। ফলে আলাদা আলাদা অধিনায়ক হলে একই খেলোয়াড়কে নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। কেউ কেউ চান তাঁদের পছন্দের অধিনায়কের অধীনে খেলতে, আবার কেউ সুযোগ নেন এক নেতার কাছে আরেক জনের নামে অভিযোগ দিয়ে সুবিধা নিতে।শান্তর বিশ্বাস, এই দ্বৈত নেতৃত্ব কাঠামো ড্রেসিংরুমে অস্থিরতা তৈরি করে। তাই টেস্ট ও ওয়ানডেতে একই অধিনায়ক থাকাই ভালো। তাহলে সিদ্ধান্ত কী হতে পারে?বর্তমানে শান্ত অপেক্ষা করছেন শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে বিসিবির সঙ্গে আলোচনার। যদি বিসিবি তাঁর পরিকল্পনার প্রতি সম্মান দেখায় এবং তাঁকে পূর্ণ অধিকার দেয়, তবে তিনি টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকতে আগ্রহী। অন্যথায় হয়তো তাঁকেও নেতৃত্বের দায়িত্ব ছাড়তে হবে।সারসংক্ষেপ নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিন সংস্করণে ভিন্ন অধিনায়ক রাখার বিরুদ্ধে শান্ত। তিনি অধিনায়ক থাকলে চাইবেন পরিষ্কার কর্তৃত্ব ও ভূমিকা। নির্বাচনের আগে আরও ৫ মাস সময় রয়েছে চিন্তার জন্য।
* * * Get Free Bitcoin Now: http://dbopro.com/index.php?a7ujxt * * * hs=a62d1b26c23eb2ee1497bb2f93241c6f* ххх*
k4zabd
* * * <a href="http://dbopro.com/index.php?a7ujxt">Get Free Bitcoin Now</a> * * * hs=a62d1b26c23eb2ee1497bb2f93241c6f* ххх*
k4zabd