ইসরায়েলের দখলদার সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পতন অবশ্যম্ভাবী—এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের একজন প্রভাবশালী জেনারেল। তিনি সতর্ক করে বলেন, শত্রুপক্ষ আর কোনো ভুল করলে ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে আরও ভয়াবহ, যা তাদের স্বার্থ ও সামরিক ঘাঁটিকে চরম হুমকিতে ফেলবে।মেহর নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১ জুলাই সোমবার তেহরানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়াজেনারেল সাফাভি দাবি করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আগ্রাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, জায়নবাদী শক্তির পতন আরও দ্রুততর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।“নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের পতন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা,”—জোর দিয়ে বলেন সাফাভি।ইরানের পূর্ণ প্রস্তুতি ও ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কবার্তাজেনারেল সাফাভি জানান, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ক্ষমতা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, তা ছাড়িয়ে গেছে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র টার্গেট ডাটাব্যাংকে শত্রুদের সব ঘাঁটির অবস্থান রয়েছে। যেকোনো ভুল পদক্ষেপ তাদের জন্য ভয়ংকর পরিণতি বয়ে আনবে।”“যুদ্ধবিরতির কারণে যুদ্ধ আপাতত থেমে থাকলেও শত্রুপক্ষের অবস্থান ও পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা পূর্ণ প্রস্তুত।” —জানান তিনি।১৩ জুনের সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলার প্রেক্ষাপটপ্রসঙ্গত, ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যেখানে ৯৩০ জনের বেশি ইরানি নিহত হন, যাদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।এর জবাবে, ইরান পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে। ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এরোস্পেস ইউনিট ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে একযোগে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।যুদ্ধবিরতি স্থগিত করেছে সংঘাত, নয় উত্তেজনা ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির ফলে সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও, উভয়পক্ষের উত্তেজনা রয়েছে চরমে। ইরানের বারবার দেওয়া হুঁশিয়ারির ইঙ্গিত, পরবর্তী সংঘর্ষ আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।
মন্তব্য (০)